Book Name:Ramzan Kaise Guzare
কাদেরীয়া, যিয়ায়িয়া, আত্তারীয়া পাঠ করা হয়ে থাকে। ফজরের পর কুরআনে পাকের তাফসীর শুনা ও শুনানোর হালকার বরকতে মসজিদ আবাদ থাকে, কুরআনে পাকের তিলাওয়াত শুনার সৌভাগ্য হয়, বিভিন্ন বিষয়ে ইলমে দ্বীনের রঙ বিরঙের মাদানী ফুল শ্রবণ করার সৌভাগ্য নসীব হয়, কুরআনে পাক পড়া ও পড়ানোর, বুঝা ও বুঝানোর সুযোগ হয়ে থাকে, আর কুরআনে পাক বুঝা ও বুঝানোর কথা আর কি বলবো যেমন,
প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ’র বাণী বুখারী শরীফে রয়েছে: خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْاٰنَ وَ عَلَّمَهٗ অর্থাৎ তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি হলো সে, যে নিজে কুরআন শিখে ও অপরকে শিখায়। (বুখারী, ৩/৪১০, হাদীস: ৫০২৭)
ফজরের পর তাফসীর শুনার ও শুনানোর হালকায় অংশগ্রহন করার দ্বারা কুরআনে পাকের তিলাওয়াত, অনুবাদ ও তাফসীর, ফয়যানে সুন্নাতে চার পৃষ্ঠা দরস, এবং দোয়া ও ওযীফা, আউলিয়ায়ে কেরামগণের আলোচনায় ভরপুর শাজারা শরীফ পাঠ করা বা শুনার সৌভাগ্য অর্জন করে দিন শুরু করার কতো বরকত হবে। মূলত ফজরের পর তাফসীর শুনা ও শুনানোর হালকা একটি কল্যাণের সমাহার।
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! দূর্ভাগ্যক্রমে ইলমে দ্বীন থেকে দূরত্বের কারণে অসংখ্য ইসলামী ভাই বিশুদ্ধভাবে নামায পড়তে এবং বিশুদ্ধভাবে কুরআনে করীম পাঠ করতেও জানে না, আল্লাহ পাকের দয়ায় আরো একবার আমাদের রমযান মাস নসীব হচ্ছে, এটি নামায এবং কুরআনে করীম শিখার ও নামাযী হওয়ার উত্তম সুযোগ, অতএব এরূপ মানসিকতা থাকা উচিৎ, যদি আমরা কুরআনে করীম পাঠ করতে না জানি তবে যেনো পাঠ করা শিখি, যদি পড়তে জানি তবে অপর ইসলামী ভাইদেরকে শিখাই, অনুরূপভাবে অন্যান্য ইসলামী ভাইদেরকে এই পবিত্র মাসে নিয়মিত নামায পড়ার মানসিকতাও প্রদান