প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমরা এতক্ষণ প্রিয় নবী, রাসূলে আরবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ’র যেই কর্মপদ্ধতি ও হযরত ইব্রাহিম নাখয়ী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ’র যে বাণী শ্রবণ করলাম, তার আলোকে জানা গেলো! আমাদের রমযানে খোদাভীতিতে কান্না করা উচিৎ, নিয়মিত ফরয সমূহ আদায়ের পাশাপাশি অধিকহারে নফল নামাযও পড়া উচিৎ, আল্লাহ পাকের নিকট নিজের দুনিয়া ও আখিরাতের উন্নতির জন্য দোয়া প্রার্থনা করা উচিৎ, বিশেষকরে রমযানের রোযা সমূহ কঠোরভাবে পালন করা উচিৎ এবং سُبْحٰنَ الله, اَلْحَمْدُ لِلّٰه, لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ এবং اَسْتَغْفِـرُ الله ইত্যাদি যিকির ও আযকারও করা উচিৎ। আসুন! রমযান মাসে যিকিরুল্লাহ এর উৎসাহ ও গুরুত্ব সম্পর্কে প্রিয় নবী, হুযুর পুরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ’র দু’টি বাণী শ্রবণ করুন:

১. ইরশাদ হচ্ছে: এই মাসে চারটি বিষয় অধিকহারে করো। এর মধ্যে দু’টি এমন, যার মাধ্যমে তুমি আপন প্রতিপালককে সন্তুষ্ট করে নিবে, সেই বিষয় দু’টি হলো: (১) لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ ’র সাক্ষ্য দেয়া (২) ইস্তিগফার করা এবং ঐ দু’টি বিষয় যার প্রতি তোমরা অমুখাপেক্ষী নও, তা হলো: (১) আল্লাহ পাকের নিকট জান্নাত প্রার্থনা করা (২) জাহান্নাম থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা। (ইবনে খুযাইমা, কিতাবুস সিয়াম, ৩/১৯১, হাদীস, ১৮৮৭)

২. ইরশাদ হচ্ছে: রমযানে আল্লাহর যিকিরকারীদের ক্ষমা করে দেয়া হয় আর এই মাসে আল্লাহ পাকের নিকট প্রার্থনাকারীরা বঞ্চিত থাকে না।

(শুয়াবুল ঈমান, বাবু ফিস সিয়াম, ৩/৩১১, হাদীস: ৩৬২৭)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                     صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

রমযান মাসে অধিকহারে তিলাওয়াত করুন

    প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমরা রমযান মাস নেকীতে অতিবাহিত করার ব্যাপারে শুনছিলাম যে, নামায এবং রোযা রাখার পুরোপুরি ব্যবস্থা করা, জান্নাতের প্রার্থনা এবং জাহান্নাম