Book Name:Ala Hazrat Aur Aqidah Khatm e Nubuwwat
হযরত আলী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: আমি এখন এমন সুস্থ হয়ে গিয়েছি (মনে হচ্ছে) যেনো পূর্বে অসুস্থই ছিলাম না।
(কানযুল উম্মাল, কিতাবুল ফাযায়িল, ফাযায়িলুস সাহাবা, খণ্ড: ১৩, পৃষ্ঠা: ৭৪, হাদীস: ৩৬৫০৯)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এটা অনেক প্রসিদ্ধ, অনেক সংক্ষিপ্ত ও আকিদায়ে খতমে নবুয়তের বিষয়টিকে একদম স্পষ্ট ও পরিষ্কার করে দেয়ার মতো খুব সুন্দর হাদীসে পাক: لَا نَبِیَّ بَعْدِی আমার পরে আর কোন নবী নেই। অনুরুপ এই শব্দাবলি অথবা এগুলোর সাথে সামঞ্জস্য, এই অর্থ ও এটার ভাবার্থমূলক শব্দাবলি প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم একবার নয় বরং বার বার, অনেক স্থানে বলেছেন। সুতরাং চেষ্টা করে এই সংক্ষিপ্ত হাদীসে পাক আমাদেরও মুখস্ত করে নেয়া উচিত আর সন্তানদেরকেও মুখস্ত করানো উচিত, কোন হাদিস শরীফ: لَا نَبِیَّ بَعْدِی আমার পরে আর কোন নবী নেই। (মুসলিম, কিতাবুল ইমারাত, পৃষ্ঠা: ৭৩৯, হাদীস: ১৮৪২)
হে আশিকানে রাসূল! اَلْحَمْدُ لِلّٰه আকিদায়ে খতমে নবুয়ত একদম স্পষ্ট ও পরিষ্কার আকিদা, এসকল দলিলাদি থেকে স্পষ্ট হয়ে গেলো যে, যমিন ও আসমান সৃষ্টির পূর্বে থেকে বর্তমান পর্যন্ত প্রত্যেক যুগে ফেরেশতা, নবী, সাহাবা ও আহলে বাইত, ওলামা, আউলিয়া, সকলেই এই আকিদা পোষণ করেছেন যে, আমাদের প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم সর্বশেষ নবী, তাঁর পরে আর কোন নতুন নবী আসবে না।
কিন্তু স্মরণ রাখবেন! এই আকিদাটি যতটুকু স্পষ্ট ও পরিষ্কার, এটার উপর আক্রমনকারীও অনেক বেশি। আল্লাহ পাকের সর্বশেষ নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم বলেন: আমার উম্মতের মধ্যে ৩০জন মিথ্যাবাদী হবে, তাদের মধ্যে প্রত্যেকেই এটা মনে করবে যে, সে নবী অথচ আমি خَاتَمُ النَّبِیّٖن আর আমার পরে কোন নবী নেই।
(আবু দাউদ, কিতাবুল ফিতান, ৬৬৬ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৪২৫২)
মুফতি আহমদ ইয়ার খাঁন নাঈমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এই হাদীসে পাকের ব্যাখ্যায় লিখেন: ৩০জন ভন্ড নবী হলো তারা, যাদেরকে লোকেরা নবী হিসেবে মেনে নিয়েছে আর তাদের ফিতনা ছড়িয়ে পড়েছে, দ্বিতীয় প্রকারের مُدَّعِیِ نُبُوَّت (অর্থাৎ ভন্ড নবী দাবীদার) যাদেরকে কেউ মান্য করে নাই তারা ভন্ডামি করে মারা গেছে, এরকম তো অনেক হয়েছে।
(মিরআতুল মানাজীহ, খণ্ড: ৭, পৃষ্ঠা: ২১৯)
ঈমানের নিরাপত্তার চিন্তা না করার কুফল
প্রতীয়মান হলো; আকিদায়ে খতমে নবুয়তের উপর আঘাত হানার লোক অনেক বেশি, এজন্য আমাদের উচিত নিজেদের ঈমানের নিরাপত্তার চিন্তা করা। মনে রাখবেন! একজন মানুষের নিকট সবচেয়ে মূল্যবান বরং অমূল্য রত্ন হলো তার ঈমান, আল্লাহ পাকের রহমতে যার ঈমানের দৌলত অর্জিত হয়েছে, সে সম্পদের দিক দিয়ে যদিওবা গরিব হয় কিন্তু ঈমানের দৌলত থেকে বঞ্চিত কোটি, কোটিপতি থেকে বড় সম্পদশালী, পক্ষান্তরে ইসলামের দৌলত