Book Name:Ala Hazrat Aur Aqidah Khatm e Nubuwwat
“خَاتَمُ النَّبِیّٖن” এর ৫টি কুফরি অর্থ
সায়্যিদি আ’লা হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ আরও লিখেন: (১): যে বলে: “خَاتَمُ النَّبِیّٖن এর অর্থ হলো: নতুন শরীয়ত বিশিষ্ট নবী, সুতরাং এই ইসলামী শরীয়তের উপর আমলকারী নতুন নবী আসতে পারে সে অমুসলিম হয়ে গেল। (২): যে ব্যক্তি “خَاتَمُ النَّبِیّٖن” এর অর্থ (আসলী নবী) করবে, সে অমুসলিম হয়ে যাবে (৩): যে ব্যক্তি এটার অর্থ اَفْضَلُ النَّبِیّٖن (সমস্ত নবীদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ) বলবে, সে অমুসলিম। হয়ে যাবে। (ফাতাওয়ায়ে রযবীয়্যা, খণ্ড: ১৪, পৃষ্ঠা: ৩৩৩) এটা স্পষ্ট যে, আমাদের প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم নিশ্চয় সকল নবীদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ, কিন্তু “خَاتَمُ النَّبِیّٖن” এর এই অর্থ করা কুফরী (কেননা এর দ্বারা কুরআনের শব্দাবলির মর্মার্থ পরিবর্তন হয়ে যায়)। (৪): যে ব্যক্তি বলে: এই যমিনের উপর তো নয় তবে অন্যান্য জায়গা (যেমন সাত যমিন ও সাত আসমানে) নবী আসতে পারে, এরকম যে বলবে সে অমুসলিম হয়ে যাবে। (৫): যে ব্যক্তি বলে: “মানুষের মধ্যে তো নতুন কোন নবী আসতে পারে না, তবে অন্যান্য সৃষ্টির মধ্যে এখনো নবী আসতে পারে” এরকম যে বলবে সে অমুসলিম হয়ে যাবে
মনে রাখবেন! “خَاتَمُ النَّبِیّٖن” এর এরকম অর্থ পোষণকারীও অমুসলিম হয়ে যাবে, যে তাকে অমুসলিম মনে করবে না অথবা সে অমুসলিম হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ করবে সেও অমুসলিম, মুরতাদ, ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে। (ফাতাওয়ায়ে রযবীয়্যা, খণ্ড: ১৪, পৃষ্ঠা: ৩৩৮)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
মিথ্যা নবী দাবীদারের কাছে দলিল চাওয়া কেমন?
হযরত আবু মানসুর মাতুরিদী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ লিখেন: যে ব্যক্তি রাসূলে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর পর মিথ্যা নবী দাবী করে তো তার কাছ থেকে। সুন্নাত মাতুরিদী, পারা: ২২, সূরা আহযাব, আয়াতের পাদটীকা: ৪০, খণ্ড: ৮, পৃষ্ঠা: ৩৯৬) কেননা আল্লাহ পাকের প্রিয় হাবীব صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم বলেছেন: لَا نَبِیَّ بَعْدِی অর্থাৎ আমার পরে আর কোন নবী আসবে না।
(মুসলিম, কিতাবুল ইমারাত, পৃষ্ঠা: ৭৩৯, হাদীস: ১৮৪২)
সায়্যিদি আ’লা হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর আলোচনার ভাবার্থ: যদি কোন ভন্ড নবুয়ত দাবীদারের কাছ থেকে এজন্য মু’জিযা চাওয়া হয় যে, সে যেহেতু দলিল চাওয়া যাবে না বরং সেই ব্যক্তির সেই দাবী অস্বীকার করতে হবে। (তাফসীরে তাভীলাতে আহরে
মিথ্যাবাদী, সেহেতু সে মু’যিজা দেখাতে পারবে না, যেহেতু দেখাতে পারবে না সেহেতু সে অপদস্ত ও অপমানিত হবে, এই নিয়্যতে মু’জিযা দেখাতে বললে কোন অসুবিধা নেই, অবশ্য যদি যাচাই করার জন্য মু’জিযা তালাশ করা হয় এটা দেখার জন্য যে, সে মু’জিযা দেখাতে পারে