Ghous e Pak aur Islah e Ummat

Book Name:Ghous e Pak aur Islah e Ummat

সুন্নাতের উপর আমল করবে সেই আমলকারীর ন্যায় আপনিও সাওয়াব পাবেন। এলাকায় দাওরা নেকীর দাওয়াত ও মাদানী কাফেলায় সুন্নাতে ভরা সফরের মাধ্যমে নিজের ও অপরের সংশোধনে আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে মুসলমানদেরকে নেককার বানানোর মেশিন হয়ে যান, اِنْ شَآءَ الله সাওয়াবের ভান্ডার হয়ে যাবে এবং উভয় জাহানে তরী পার হয়ে যাবে।

          হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত ইমাম আবু হামিদ মুহাম্মদ বিন মুহাম্মদ বিন মুহাম্মদ গাযালী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: একবার হযরত মূসা কলিমুল্লাহ عَلَیْہِ السَّلَام আল্লাহ পাকের দরবারে আরয করলেন: হে আল্লাহ! যে তার আপন ভাইকে আহ্বান করে তাকে নেকীর নির্দেশ দেয় আর মন্দ কার্যাদি থেকে বারণ করে। সেটার প্রতিদান কি? আল্লাহ পাক ইরশাদ করলেন: আমি তার প্রতিটি শব্দের বিনিময়ে এক বছরের সাওয়াব লিখে দিই আর তাকে জাহান্নামে শাস্তি দিতে আমার লজ্জাবোধ হয়।

(মুকাশাফাতুল কুলুব, বাবু ফিল আমরি বিল মারুফ ওয়ান নাহী আনিল মুনকার, ৬৫ পৃ:)

 

          سُبْحَانَ الله! যদি আপনি কাউকে নেকীর দাওয়াত দেন তবে এক একটি শব্দ (বা কথার) বিনিময়ে এক বছরের ইবাদতের সাওয়াব পাবেন, ধরে নিন! আপনি একদিন মসজিদে শুধুমাত্র একজন ইসলামী ভাইয়ের সামনে ফয়যানে সুন্নাত থেকে দরস দিলেন আর তাতে ২ পৃষ্ঠা পড়ে শুনিয়েছেন, এখন যদি সেটাতে ২০টি শব্দ নেকী ও কল্যাণকর বিষয়ে বর্ণনা হয় তবে দরস শ্রবণকারী সেই ইসলামী ভাই সেটার উপর আমল করুক বা না করুক আপনার আমলনামায় اِنْ شَآءَ الله ২০ বছরের ইবাদতের সাওয়াব লিখা হবে আর যদি আপনার দরস শুনে সেই ইসলামী ভাই আমল করা শুরু করে দেয় তবে যতক্ষণ পর্যন্ত আমল করতে থাকবে আপনি তার সমপরিমাণ সেই আমলকারীর ন্যায় সাওয়াব পেতে থাকবেন আর যদি সে দরস থেকে শিখা সুন্নাত অন্য কারো নিকট পৌঁছিয়ে দেয় তবে সেটার সাওয়াব সেই পৌঁছানো ব্যক্তিও পাবে এবং আপনিও পাবেন। এইবাবে اِنْ شَآءَ الله আপনার সাওয়াব বৃদ্ধি পেতে থাকবে। নেকীর দাওয়াতের দ্বারা আখিরাতে পাওয়া সাওয়াব যদি বান্দা দুনিয়াতে দেখে নিতো তবে এক মূহুর্তও অযথা (Useless) নষ্ট হতে দিতো না, সর্বক্ষণই নেকীর দাওয়াত দিতে থাকতো। (নেকীর দাওয়াত, ২৩০-২৩১ পৃ:)

 

গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর শিক্ষা

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! হুযুরে গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ সাহিবে সিলসিলা অর্থাৎ তিনি সিলসিলায়ে কাদেরীয়ার মূল প্রবর্তক এবং সেটার ভিত্তি (Principles) স্থাপন করেছেন। اَلْحَمْدُ لِلّٰه হুযুরে গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর এটাও একটি সূক্ষ্ম ও দূরদর্শী (Far-sightedness) চিন্তাধারা যে, তিনি তাঁর যুগেও সমাজের সংশোধনের জন্য যেই পদ্ধতি অবলম্বন করেছিলেন, এখনো সেই পদ্ধতি চালু (Useful) রয়েছে, যদি আমরা সিলসিলায় আলিয়া কাদেরীয়ার এই মৌলিক শিক্ষা বাস্তবায়ন করি তবে আমাদের সমাজ একটি আদর্শিক সমাজে পরিণত হতে পারবে। সিলসিলায়ে কাদেরীয়ার এই মৌলিক শিক্ষাটি (Basic Principles) কী? আসুন! তার মধ্য থেকে একটি শ্রবণ করি: