Book Name:Ghous e Pak aur Islah e Ummat
হুযুরে গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এমন সংকটময় অবস্থায় দ্বীনের খিদমত করেছেন, উম্মতে মুসলিমার ডুবে যাওয়া নৌকাকে উত্তোলন করেছেন, দ্বীনের মৌলিক শিক্ষাকে জীবিত করেছেন এবং মুসলমানদের চরিত্র ও আদর্শ কুরআন ও সুন্নাহ এবং দ্বীনি শিক্ষার আলোতে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। তাঁর এই খিদমতসমূহের কারণে তাঁকে মুহয়ুদ্দিন (অর্থাৎ দ্বীনকে জীবিতকারী) বলা হয়ে থাকে।
কিভাবে মুহয়ুদ্দিন উপাধিতে ভূষিত হন
হযরত গাউসে আযম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: একবার জুমার (Friday) দিন ছিলো, আমি সফর থেকে ফিরে আসছিলাম, পথিমধ্যে এক জায়গায় আমি খুবই দূর্বল (Weak) এক ব্যক্তিকে দেখলাম, সে আমাকে সালাম দিলো, আমি উত্তর দিলাম, সেই ব্যক্তিটি বললো: আমাকে উঠাও! আমি তাকে উঠিয়ে বসালাম তো হঠাৎ তার চেহারা আলোকিত ও শরীর সতেজ হয়ে গেলো। আমি অবাক হয়ে গেলাম, এতে সে বললো: অবাক হওয়ার কিছু নেই, আমি (আপনার নানাজান হযরত মুহাম্মদ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم) এর দ্বীন, (মানুষের অবহেলা ও আমলহীনতার কারণে) দূর্বল হয়ে যাচ্ছিলাম, আল্লাহ পাক আপনার মাধ্যমে আমাকে নতুন জীবন দান করেছেন, আপনি হলেন মুহয়ুদ্দিন। এরপর আমি বাগদাদে গেলাম, জুমার নামায আদায় করলাম তো লোকেরা দৌড়ে দৌড়ে আমার দিকে আসলো আর ইয়া মুহয়ুদ্দিন বলে সম্বোধন করে আমার হাত চুম্বন করতে লাগলো।
(বাহজাতুল আসরার, ১০৯ পৃ:)
سُبْحَانَ الله! প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমাদের পীর হুযুরে গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ হলেন মুহয়ুদ্দিন, অর্থাৎ মানুষের মধ্যে আমলহীনতা বেড়ে যাচ্ছিলো, বদমাযহাবী দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছিলো, লোক দ্বীন থেকে দূরে সরে যাচ্ছিলো, সুন্নাত ছেড়ে দিচ্ছিলো, নামাযের স্পৃহা কমে যাচ্ছিলো, মাল ও দৌলতের ভালোবাসা, পদবী, আসন ও মুকুটের লোভে আবৃত ছিলো, এমন অবস্থায় হুযুরে গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ উম্মতের সংশোধনের তরী উত্তোলন করলেন আর দিনরাত মেহনত করে দ্বীনকে পূনরোজ্জীবিত করলেন।
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! হুযুরে গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর বরকতে লক্ষ কোটি মানুষ সংশোধন (Refinement) হয়েছে, চোর আসলো তো তাওবা করে বেলায়তের উচ্চ মর্যাদায় পৌঁছে গেলো, মদ্যপায়ী, অশ্লীল, দুশ্চরিত্র, পথভ্রষ্ট, বদ মাযহাব, এমনকি অমুসলিমও তাঁর হাত মুবারকে কালিমা পড়ে মুসলমান হতো।
হযরত আবু হাসান কাওয়াস رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: একদিন আমি আর আমার সাথে অনেক লোকসহ হুযুরে গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর যিয়ারত করতে রওনা করলাম, আমরা সকলে নিজের বিপদের কথা ও পেরেশানীর সমাধান (Solution) এর জন্য দোয়া করানোর ইচ্ছা (Intention) করছিলাম, পথিমধ্যে আরও লোকজন আমাদের সাথে যুক্ত হলো। তাদের মধ্যে একজন যুবক ছিলো, আমি তাকে চিনতাম, সে অনেক খারাপ চরিত্রের ছিলো, অধিকাংশ সময়ই