Ghous e Pak aur Islah e Ummat

Book Name:Ghous e Pak aur Islah e Ummat

          অন্তর্দৃষ্টি হলো একটা নুর যেটা আল্লাহ পাক তাঁর বান্দার অন্তরে প্রবেশ করিয়ে দেন। (লুমআতুল তানকীহ, কিতাবুস সালাত, ৩/১১৩ পৃ:, হাদীসের পাদটীকা: ৯৭৮) হযরত আল্লামা মুনাবী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ হাদীসে পাকের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে লিখেন: সেই নুর যেটা আল্লাহ পাক কামিল মুমিনের অন্তরে রেখে দেন, সেটা দ্বারা বান্দার হৃদয় আলোকিত হয়ে শিশার ন্যায় হয়ে যায় (যেটাতে প্রতিটি জিনিস পরিষ্কার দেখা যায়), সুতরাং সেই নুরের বরকতে বান্দা গোপন (Hidden) বিষয়ে অবগত এবং রহস্যময় (Secrets) বিষয়াদি অবলোকনকারী হয়ে যায়। (ফয়যুল কদীর, ১/১৮৫-১৮৬ পৃ:, হাদীসের পাদটীকা: ১৫১)

 

তুমি আমার জন্য কাঁচের মতো

          اَلْحَمْدُ لِلّٰه আমাদের পীর হুযুরে গাউসে পাক শায়খ আব্দুল কাদির
رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ শুধু কামিল মুমিনই নয় বরং কামিলদেরও ইমাম, পীরদের পীর। তাঁকে আল্লাহ পাক অন্তর্দৃষ্টির নুর দান করেছেন, তাঁর কেমন শান। তিনি স্বয়ং নিজে বলেন: হে লোকেরা! আমার মুখে যদি শরীয়তের লাগাম না থাকতো তবে আমি তোমাদেরকে বলে দিতাম যা তোমরা ঘরে আহার করো এবং যা রেখে আসো, اَنْتُمْ بَیْنَ یَدِیْ کَا لْقَوَارِیْرِ یُریٰ مَا فِی بَوَاطِنِکُمْ وَ ظَوَاہِرِکُمْ তোমরা আমার নিকট কাঁচের বোতলের মতো, তোমাদের জাহির ও বাতিন সবকিছু আমি অবলোকন করি। (বাহজাতুল আসরার, ৫৫ পৃ:)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

এককভাবে বুঝিয়ে বলুন!

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমরা ঘটনা শুনেছি, শায়খ আবুল ফারাজ رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর ভুল হয়েছে, তিনি অসাবধানতাবশত অযু ছাড়া নামায পড়ে নিয়েছেন, এক্ষেত্রে আমাদের পীর শায়খ আব্দুল কাদির জিলানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ তৎক্ষণাৎ তাকে সংশোধন করেছেন আর বলে দিয়েছেন যে তোমার অযু নেই।

          এরদ্বারা হুযুরে গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর নেকীর দাওয়াত দেয়ার স্পৃহা (Passion) ও প্রতীয়মান হয় * اَلْحَمْدُ لِلّٰه তিনি বয়ানও করতেন * বড় বড় ইজতিমাও করতেন * মাদরাসায়ও পড়াতেন * এবং এর সাথে সাথে এককভাবে (Individually) লোকদেরকে বুঝিয়ে সংশোধনের সুযোগও করে দিতেন।

          হায়! আমাদেরও যদি এই স্পৃহা নসিব হয়ে যেতো! সাধারণত সম্মিলিত নেকীর দাওয়াতের ধারাবাহিকতা থাকে, মুবাল্লিগরা বয়ান করে, দরস দেয়, সোশ্যাল মিডিয়া ও টিভি চ্যানেলের মাধ্যমেও লোক অন্যদের নিকট নেকীর দাওয়াতের পয়গাম পৌঁছায় কিন্তু এককভাবে কাউকে ভুল করতে দেখলে তাকে বুঝানোর, নেকীর দাওয়াত দেয়ার, তাকে সংশোধন করার সুযোগ করে দেয়ার বিষয়গুলো খুবই কম দেখা যায়। একক প্রচেষ্টায় বুঝাতে সাধারণত সাহস হয় না, দরস ও বয়ানের তুলনায় তাতে সংকোচ (Hesitation) বেশি হয়ে থাকে কিন্তু সম্মিলিতভাবে (Combined) নেকীর দাওয়াত দেয়ার চেয়ে একক প্রচেষ্টায় বুঝানোর প্রয়োজন বেশি, গুরুত্ব (Importance) ও বেশি এবং সেটার উপকারিতা (Benefits) ও বেশি হয়ে থাকে। এই শরয়ী মাসআলাটি সর্বদা মনে রাখবেন! যদি আমরা কাউকে কোন গুনাহের কাজ করতে