Book Name:Ghous e Pak aur Islah e Ummat
اٰمِين بِجا هِ النَّبِىِّ الْاَمين صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم
গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
اَلْحَمْدُ لِلّٰه শাহেনশাহে বাগদাদ, হুযুরে গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ প্রসিদ্ধ ও পরিচিত ব্যক্তিত্ব * তিনি হাসানী ও হোসাইনী সৈয়দ * তাঁর নাম মুবারক: আব্দুল কাদির এবং উপনাম: আবু মুহাম্মদ * মুহয়ুদ্দিন (অর্থাৎ দ্বীনকে জীবিতকারী) এবং গাউসুছ ছাক্বালাইন (অর্থাৎ জ্বিন ও মানুষের গাউস, সাহায্যকারী) তাঁর প্রসিদ্ধ উপাধি * হুযুরে গাউসে পাক, শায়খে আব্দুল কাদির জিলানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ৪৭০ হিজরীতে জিলান শহরে জন্মগ্রহণ করেন * ৯১ বছর দুনিয়াতে অবস্থান করেন * ৫৬১ হিজরীতে তিনি দুনিয়া থেকে পর্দা করেন।
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমাদের দেশে সাধারণত হুযুরে গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কে গিয়ারভী ওয়ালা পীর বলে থাকে, তেমনিভাবেই হুযুরে গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর ইসালে সাওয়াবের মাহফিলকে গিয়ারভী বলা হয়ে থাকে। এটির অনেক কারণ রয়েছে, যেমন * হুযুরে গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর বেছালের দিন হলো ১১ রবিউল আখির, এজন্য তাঁকে গিয়ারভী ওয়ালা পীর বলা হয় * হুযুরে গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর বংশধারা ১১ স্তরে গিয়ে ইমাম হাসান মুজতাবা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ পর্যন্ত পৌঁছেছে (যুবদাতুল আছার, যিকরু নসবিহী ওয়া সিফাতিহী, ৩৫-৩৬ পৃ:) * তাঁর শাজারা তরিকত (অর্থাৎ তাঁর পীর সাহেব, অতঃপর তাঁর পীর সাহেব, এরপর তাঁর পীর সাহেব এইভাবে যেই ধারাবাহিকতা, এই শাজারা শরীফও) ১১ স্তরে গিয়ে হযরত আলীউল মুরতাদ্বা শেরে খোদা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ পর্যন্ত পৌঁছেছে * হাকীমুল উম্মত মুফতি আহমদ ইয়ার খাঁন নঈমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ তাঁর কিতাব জা-আল হক এ এটার আরও একটি খুব সুন্দর ঈমান উদ্দীপক কারণ লিপিবদ্ধ করেছেন। তিনি লিখেন: হুযুরে গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ১২ বারভী শরীফ অর্থাৎ নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর মিলাদ অনেক ধুমধামের সাথে পালন করতেন, একদিন রাসূলে আকরাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم স্বপ্নে তাশরিফ এনেছেন আর বলেছেন: আব্দুল কাদির! তুমি আমাকে ১২ বারভী করার মাধ্যমে স্মরণ করেছো, আমি তোমাকে ১১ অর্থাৎ গিয়ারভী দিচ্ছি। যেহেতু এটি রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم দান করেছেন, এজন্য পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। اَلْحَمْدُ لِلّٰه শতবছর অতিবাহিত হওয়ার পরও এখনো গাউসে আযম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর গোলামরা রবিউল আখিরে বিশেষ করে এটা ছাড়াও প্রতি ইসলামী মাসের ১১ তারিখে খুবই আগ্রহের সাথে ১১ গিয়ারভী শরীফ পালনের ব্যবস্থা করে থাকে। (জা-আল হক্ব, ২২০ পৃ:)