Book Name:Ghous e Pak aur Islah e Ummat
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আজ اَلْحَمْدُ لِلّٰه বড় গিয়ারভী শরীফ (অর্থাৎ রবিউল আখিরের ১১তম রাত)। اَلْحَمْدُ لِلّٰه এই রাতে সারা পৃথিবীতে হুযুরে গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর জীবনী আলোচনা মূলক মাহফিল উদযাপন করা হয়ে থাকে, গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর আশিকগণ ধূমধামের সাথে গিয়ারভী শরীফ পালন করা হয়ে থাকে, গাউসে পাকের জীবনী আলোচনা করে ঈমানের সতেজ ও গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর ইসালে সাওয়াবের জন্য তাবাররুক ইত্যাদির ব্যবস্থা করে খুব বেশি বেশি ইসালে সাওয়াব করার বরকত অর্জন করে থাকে।
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমাদেরও অবশ্যই গিয়ারভী শরীফের আয়োজন করা উচিত, গিয়ারভী শরীফ কী? ইসালে সাওয়াব, আর ইসালে সাওয়াব করা কুরআন ও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। সাহাবীয়ে রাসূল হযরত আনাস বিন মালিক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: আমি প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দরবারে আরয করলাম: আমরা আমাদের মৃতদের জন্য দোয়া ও তাদের পক্ষ থেকে দান-সদকা ইত্যাদি করে থাকি, এসব বিষয় কি তাদের নিকট পৌঁছে থাকে? প্রিয় নবী, রাসূলে আরবী, হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করলেন: নিশ্চয় এসব বিষয় সেই মৃতদের নিকট পৌঁছে থাকে وَ یَفْرَحُوْن بِہٖ کَمَا یَفْرَحُ اَحَدُکُمْ بِالْہَدْیَۃِ অর্থাৎ যেমনিভাবে তোমরা উপহার পেলে খুশি হয়ে থাকো, তেমনিভাবেই মৃত ব্যক্তিরা এই (ইসালে সাওয়াব) দ্বারা খুশি হয়ে থাকে। (উমদাতুল ক্বারী, কিতাবুল জানায়িয, ৬/৩০৫ পৃ:, হাদীসের পাদটীকা: ১৩৮৮)
سُبْحَانَ الله! হে আশিকানে গাউসে পাক! আমরা গিয়ারভী শরীফের ব্যবস্থা করে থাকি, হুযুরে গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর জন্য ইসালে সাওয়াব করি, এরদ্বারা গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ আমাদের উপর খুশি হয়ে গেলে আমাদের আর কী প্রয়োজন...!!
মুফাসসীরে কুরআন, হাকীমুল উম্মত মুফতি আহমদ ইয়ার খান নঈমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: যদি প্রতি চাঁদের গিয়ারভী শরীফে নির্ধারিত টাকার শিরনি মুসলমানদের দোকান থেকে ক্রয় করে নিয়মিতভাবে গিয়ারভী শরীফের ফাতেহা দেয়া হয় তো রিযিকে অফুরন্ত বরকত হবে اِنْ شَآءَ الله কখনো দুর্দশাগ্রস্থ হবে না। স্বয়ং আমি এটা নিয়মিত পালন করি এবং আল্লাহ পাকের দয়ায় এটার অসংখ্য বরকত পেয়ে থাকি। (ইসলামী জীবন, ১৩২ পৃ:)
اَلْحَمْدُ لِلّٰه আশিকে গাউসে পাক শায়খে তরিকত, আমীরে আহলে সুন্নাত دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ হুযুরে গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর মুরিদ ও এবং গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসাও পোষণ করেন, তাঁর বহু বছরের অভ্যাস যে, প্রত্যেক ইসলামী মাসের ১১তম রাতে গিয়ারভী শরীফের নিয়াযের ব্যবস্থা করেন আর সেটার প্রতি অনুপ্রাণিত করে থাকেন। তাঁর প্রত্যাশা হলো প্রত্যেক আশিকে রাসূল নিয়মিতভাবে প্রতিমাসে গিয়ারভী শরীফ পালন করুক। হায়! আমরা আশিকানে গাউসে পাকের যদি এই তৌফিক মিলে যেতো এবং প্রতিমাসে নিয়মিতভাবে গিয়ারভী শরীফের নিয়াযের ব্যবস্থা করতাম।