Book Name:Ghous e Pak aur Islah e Ummat
দেখি আর আমাদের প্রবল ধারণা হয় যে, তাকে বুঝালে সে বুঝবে, তাহলে এহেন অবস্থায় তাকে বুঝানোটা ওয়াজিব হয়ে যাবে। (বাহারে শরীয়ত, ৩/৬১৫ পৃ:, অংশ: ১৬ সামান্য পরিবর্তন সহকারে)
অতএব একক প্রচেষ্টায় লোকদেরকে বুঝানোর অভ্যাস (Habit) করুন! * কাউকে নামাযে ভুল করতে দেখলে * কাউকে অযুতে ভুল করতে দেখলে * কারো দোকানে গেলেন আর সে গান (Songs) চালালে * কাউকে গিবত করতে * চুগলি করতে দেখলে * গালমন্দ করতে দেখলে বা শুনলে যদি এই ধারণা হয় যে, আমি তাকে বুঝালে সে মেনে নিবে, এই অবস্থায় * অবস্থার প্রেক্ষাপট অনুযায়ী * সুন্দর কৌশলের সাথে (Strategy) * ভালোবাসা ও আন্তরিকতার সাথে তাকে বুঝিয়ে নেকীর দাওয়াতের সাওয়াব অর্জন করতে কখনো অলসতা (Laziness) করা উচিত নয়। আমার ও আপনার আক্বা নবী মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: আল্লাহ পাকের শপথ! যদি আল্লাহ পাক তোমাদের মাধ্যমে কোন ব্যক্তিকেও হিদায়ত দান করে তবে এটি তোমাদের জন্য লাল উটনীর চেয়েও উত্তম (Better)। (বুখারী, কিতাবুল জিহাদ ওয়া সাইর, ৭৫৮ পৃ:, হাদীস: ২৯৪২) হযরত কা’বুল আহবার رَضِیَ اللهُ عَنْہُ হতে বর্ণিত: জান্নাতুল ফেরদৌস বিশেষ করে সেই ব্যক্তির জন্য যে নেকীর দাওয়াত দেয় এবং মন্দ কার্যাদি থেকে নিষেধ করে। (তাম্বিহুল মুগতাররীন, ২০১ পৃ:)
আল্লাহ পাক আমাদেরকে খুব বেশি বেশি নেকীর দাওয়াত প্রচার ও প্রসার করার তৌফিক দান করুক। বিশ্বাস করুন! যদি আমরা এই পদ্ধতি অবলম্বন করি, বুঝার ও বুঝানোর, শিখা ও শিখানোর, সংশোধন করার ও সংশোধন গ্রহণকারী হয়ে যাই তো আমাদের সমাজ আদর্শবান সমাজে (Ideal Society) পরিণত হবে। আল্লাহ পাক আমল করার তৌফিক দান করুক। اٰمِين بِجا هِ النَّبِىِّ الْاَمين صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ হলেন মুহয়ুদ্দিন
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! হিজরী ৫ম শতাব্দী অর্থাৎ যেই যুগে হুযুরে গাউসে পাক শায়খ আব্দুল কাদির জিলানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ জীবদ্দশায় ছিলেন, সেই যুগে উম্মতে মুসলিমা অনেক বিপদের সম্মুখিন ছিলো, মুসলমানদের আকীদা ও মতাদর্শের উপর আঘাত করা হচ্ছিলো, বদ মাযহাবী ছড়িয়ে পড়ছিলো, মুসলমানদের আদর্শ ও চরিত্রকে ক্ষুন্ন করা হচ্ছিলো, অমুসলিমদের ষড়যন্ত্র (Conspiracies) চলছিলো, উন্দোলুস (বর্তমান স্পেন) অমুসলিমরা দখল করে নিয়েছিলো, মিসর (Egypt) অমুসলিমরা দখল করে নিয়েছিলো এবং ইরাকে হাসান সাব্বাহ (নামক মুনাফিক ও খুবই নিষ্ঠুর ব্যক্তি) গণহত্যা (Massacre) ও লুঠপাট চালাচ্ছিলো এবং বাগদাদ শরীফে যা তখন রাজধানী (Capital) ছিলো, সেখানকার অবস্থা এমন ছিলো যে বলা হতো:
قَارُوْنُ لَوْ حَلَّ بِہَا جَازَتْ عَلَیْہِ الصَّدَقَۃُ
অর্থাৎ কারুনের মতো বাদশাহ ব্যক্তি যদি বাগদাদে বসবাস করে তবে (ওখানকার অবস্থা, দ্রব্যমূলের উর্ধগতির কারণে এত দরিদ্র হয়ে যেতো যে) তাকে যাকাত দেয়া যাবে।