Ghous e Pak aur Islah e Ummat

Book Name:Ghous e Pak aur Islah e Ummat

(১): মুজাহাদাহ

          সিলসিলায়ে আলিয়া কাদেরীয়ার প্রথম উসুল হলো মুজাহাদাহ। এর অর্থ হলো: নিজেকে নিজে সংশোধনের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করা। আল্লাহ পাক কুরআনে করীমে ইরশাদ করেন:

وَ الَّذِیْنَ جَاہَدُوْا فِیْنَا لَنَہْدِیَنَّہُمْ سُبُلَنَا

(পারা ২১, সূরা আনকাবুত, আয়াত: ৬৯)     কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আর যারা আমার পথে প্রচেষ্টা চালায় অবশ্যই আমি তাদেরকে আপন রাস্তা দেখাবো।

 

          প্রতীয়মান হলো; যারা সঠিক রাস্তায় আসার জন্য, আল্লাহ পাকের নৈকট্য অর্জনের জন্য, গুনাহ বর্জন করে, মন্দ অভ্যাস পরিহার করার জন্য চেষ্টা করে, আল্লাহ পাক তাকে সঠিক রাস্তায় হিদায়ত নসিব করেন।

 

          এজন্য হুযুরে গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ তাঁর সিলসিলায়ে আলিয়া কাদেরীয়ার ভিত্তি মুজাহাদার উপর রেখেছেন, মূলত নিজের শিক্ষা (Teachings)’র মাধ্যমে আমাদের এটা শিখাচ্ছেন যে, হে লোকেরা! শুধুমাত্র কথা বললে কিছু হয় না বরং আমাদের মধ্য হতে প্রত্যেকের উপর আবশ্যক হলো আমরা যেনো ইনসাফের সাথে নিজেদের পর্যবেক্ষণ করি, নিজেদের মন্দ বিষয়াদি, নিজেদের গুনাহ, নিজেদের মন্দ অভ্যাসগুলোকে স্বয়ং নিজে অবলোকন করি, অতঃপর এসব মন্দ বিষয়াদি ও মন্দ স্বভাবগুলোকে দূর করে তার স্থলে ভালো স্বভাব অবলম্বন করার ভরপুর চেষ্টা করা, যখন সমাজের প্রতিটি লোক এই প্রচেষ্টা (Effort) শুরু করে দিবে তখন اِنْ شَآءَ الله সংশোধন হওয়া শুরু হবে, এটার বরকতে পুরো সমাজ সংশোধন হয়ে একটি আদর্শবান সমাজ হয়ে যাবে।

 

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এজন্য আমাদের সকলের উচিত আজ থেকেই আমাদের মুজাহাদাহ শুরু করা। এটা কিভাবে হবে? আসুন! হুযুরে গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর প্রভাব সম্পন্ন বয়ান শ্রবণ করি:

 

নাজাত চান তো...

          ১১ রজব, ৫৪৫ হিজরী, সোমবার ও সকালের সময় ছিলো, হুযুরে গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বয়ান করতে গিয়ে বলেন: হে লোকসকল! যদি সফলতা (Success) অর্জন করতে চাও তবে নফসের বিরোধিতা ও আপন প্রতিপালকের আনুগত্য করো! নিজেদের নফসকে মুজাহাদার মাধ্যমে গলিয়ে দাও! এমনটি  করলে তোমাদের অন্তরের প্রশান্তি মিলে যাবে। হে লোকসকল! নিজেদের আকাঙ্খা কমিয়ে নাও, তোমাদের নফস অনুগত হয়ে যাবে। নিজেদের নফসকে রাসূলুল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর এই উপদেশটি শুনাও যে,  তিনি বলেন: যখন সকাল হয় তখন নিজেকে নিজে সন্ধার প্রত্যাশী (Hope) বানিও না! যখন সন্ধা হয় তখন নিজেকে সকালের প্রত্যাশী করো না! নিশ্চয় তোমরা জানো না যে, কাল তোমাদের নাম কী হবে (অর্থাৎ জনাব বলে ডাকা হবে নাকি মরহুম বলা হবে।)

(তিরমিযী, কিতাবুয যুহদ, বাবু মা জা আ ফি কসরিল আমল, ৫৫৮ পৃ:, হাদীস: ২৩৩৩)