Ghous e Pak aur Islah e Ummat

Book Name:Ghous e Pak aur Islah e Ummat

মসজিদে রয়েছি, সেখানে অনেক লোক সমবেত হয়েছে, আমি মনে মনে ভাবলাম; হায়! এখানে যদি অমুক নেককার বান্দা থাকতো, তবে সে এসব লোকদের দ্বীন ও আদব শিখাতো...!! এটা চিন্তা করার পর পরই আমি একজন নেককার ব্যক্তিকে ইশারা করলাম, আমার ইশারা পাওয়ার সাথে সাথে ঐসব লোকেরা আমার আশেপাশে এসে একত্রিত হলো, তাদের মধ্যে একজন বললো: হুযুর! আপনি কিছু বলছেন না কেনো? (অর্থাৎ আপনি আমাদেরকে কিছু শিখান!)।

          হুযুর গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ তাদের আবেদন কবুল করলেন আর তাদেরকে নেকীর দাওয়াত দেয়া শুরু করলেন, তিনি স্বপ্নের মধ্যেই পুরো এটি বয়ান করলেন, (ফতহুল গায়েব, ৩৩ পৃ:) যার বরকতে ঐসবলোক তাওবা করার সৌভাগ্য অর্জন করলো। (শরহে ফতহুল গাইব, ৯৪ পৃ:)

 

          اَلْحَمْدُ لِلّٰه প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমাদের গাউসে আযম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর কেমন শান....!! কেমন উত্তম ঘুম, কেমন সুন্দর জাগরণ, এটা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, নেকীর দাওয়াত দেয়া, সমাজ (Society) সংশোধন করা হুযুরে গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছিলো, এমনকি তিনি ঘুমের ঘরে অথবা জাগ্রত অবস্থায় সর্বাবস্থায় ব্যস ইলমে দ্বীনের প্রচার করা, মানুষকে নেকীর দাওয়াত দেয়া, আল্লাহ পাকের বান্দাদের আল্লাহ পাকের সাথে মিলিত করার চিন্তায় বিভোর থাকতেন।

          হায়! আমাদেরও যদি এই সৌভাগ্য অর্জন হতো, হায়! আমাদের ব্যস উদ্দেশ্য (Purpose) হয়ে যেতো: আমাকে নিজের এবং সারা দুনিয়া মানুষের সংশোধনের চেষ্টা করতে হবে (اِنْ شَآءَ الله), অতঃপর এই উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়ে সব সময় শিখা, শিখানোর, শোনার, শোনানোর, বুঝার, বুঝানোর, নেকী করার ও নেকীর দাওয়াত প্রচার করার মধ্যেই মশগুল থাকতাম। ঘর হোক বা দোকান, বাজার হোক বা মহল্লা, সফরে হোক বা শহরে, ফোনে কথা বলি বা সরাসরি (face Face to) সাক্ষাত, ব্যস সর্বক্ষণ নেককার হওয়ার ও নেককার বানানোর ধ্যানে মগ্ন থাকতাম।

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

নেককার বানানোর মেশিন হয়ে যান!

          আশিকে গাউসে আযম, শায়খে তরিকত, আমীরে আহলে সুন্নাত دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ আমাদের বুঝাতে গিয়ে লিখেন: প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! নেকী অর্জন করার লোভী হয়ে যান, অপরকে নামাযী বানানোর প্রচেষ্টার গতি বাড়ান, যখনই জামাত সহকারে নামায পড়ার জন্য মসজিদের দিকে যাবেন অপরকে নামাযের প্রতি উৎসাহিত করে সাথে নিয়ে যান, যারা নামায পড়তে জানে না তাদেরকে নামায শিখান। যদি আপনার কারণে কোন একজনও নামাযী হয়ে যায় তবে যতদিন সে নামায পড়তে থাকবে তার প্রতিটি নামাযের সাওয়াবও আপনি পেতে থাকবেন, বয়স্ক আশিকে রাসূলের জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত মাদরাসাতুল মদীনা বালেগানে ভর্তি (Admission) করিয়ে দিন, এতে স্বয়ং নিজেও কুরআন শিখুন ও অপরকেও শিখান। আপনার কাছ থেকে যারা শিখেছে তারা যখনই তিলাওয়াত করবে সেটার সাওয়াবও আপনি পেতে থাকবেন। আপনিও সুন্নাতের উপর আমল করুন আর অপরকেও আমল করার প্রতি উৎসাহিত করুন। যদি আপনি কোন একজনকে সুন্নাত শিখিয়ে দেন তো সেও যখনই সেই