Karamat e Auliya Ke Saboot

Book Name:Karamat e Auliya Ke Saboot

          * আউলিয়ায়ে কিরাম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِمْ এর মাযারে উপস্থিত হয়ে তাদের থেকে ফয়েয নেওয়া বুযুর্গদের  রীতি ছিল যেমন, শায়খ ইমাম খাল্লাল رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: "যখনই আমার কোন সমস্যা হয়, আমি ইমাম মূসা কাযেম বিন জাফর সাদেক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর মাযারে উপস্থিত হয়ে তাঁর ওসিলা উপস্থাপন করি ফলে আল্লাহ পাক আমার সমস্যা সহজ করে আমাকে আমার কাঙ্ক্ষিত ফল দেন" (তারিখে বাগদাদ, /১৩৩) * ইমাম শাফেঈ رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: "যখনই আমার কোনো প্রয়োজন হয়, আমি দুই রাকাত নামায আদায় করে ইমাম আবু হানিফা رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর পবিত্র মাযারে গিয়ে দোয়া করি, আল্লাহ পাক আমার প্রয়োজন পূর্ণ করে দেন" (আল খায়রাতুল হিসান, পৃষ্ঠা ২৩০) যদি কেউ আল্লাহর ওলী বা কোনো মুসলমানের কবর যিয়ারতে যেতে চায় তবে মুস্তাহাব হলো , প্রথমে নিজের ঘরে (মাকরূহ সময় না হলে) দুই রাকাত নফল নামায পড়বেন প্রতিটি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর একবার আয়াতুল কুরসি এবং তিনবার সূরা ইখলাস পড়ে এই নামাযে সাওয়াব কবরস্থ ব্যক্তির নিকট পৌঁছে দিবে, আল্লাহ পাক সেই মৃত ব্যক্তির কবরে নূর সৃষ্টি করবেন এবং সাওয়াব প্রেরণকারীকে অনেক বেশি সাওয়াব দান করবেন (ফাতাওয়ায়ে আলমগীরি, /৩৫০)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

ঘোষণা:

          মাযারে উপস্থিত হওয়ার অবশিষ্ট আদব শেখা শেখানোর হালকায় বর্ণনা করা হবে সুতরাং সেগুলো জানতে অবশ্যই শেখা শেখানোর হালকায় অংশগ্রহণ করুন।

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

দাওয়াতে ইসলামীর সাপ্তাহিক ইজতিমায় পঠিত

৬টি দরূদ শরীফ ও ২টি দোয়া

 

(১) বৃহস্পতিবার রাতের দরূদ শরীফ

اَللّٰہُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ وَبَارِكْ عَلٰی سَیِّدِنَامُحَمَّدِنِ النَّبِیِّ الْاُمِّیِّ

الْحَبِیْبِ الْعَالِی الْقَدْرِالْعَظِیْمِ الْجَاهِ وَعَلٰی اٰلِہٖ وَصَحْبِہٖ وَسَلِّمْ

        বুযুর্গরা বলেছেন: যে ব্যক্তি প্রত্যেক জুমার রাতে (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত) এ দরূদ শরীফ নিয়মিতভাবে কমপক্ষে একবার পাঠ করবে মৃত্যুর সময় রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর যিয়ারত লাভ করবে এবং কবরে প্রবেশ করার সময় এটাও দেখবে যে, প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আপন রহমতপূর্ণ হাতে তাকে কবরে রাখছেন

 (আফযালুস সালাওয়াতি আলা সায়্যিদিস সাদাত, ১৫১ পৃষ্ঠা)