Book Name:Qaroon Ko Naseehat
এই আয়াত পড়ার সাথে সাথেই তার নিশ্বাস বের হয়ে গেলো। * খলিফা হারূনুর রশিদও খুবই মর্যাদা সম্পন্ন বাদশাহ ছিলো, যখন তাঁর মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসলো তখন নিজের কাফন আনালেন আর সেটাকে এদিক সেদিক করে বারবার দেখতে রইলেন, অতঃপর এই আয়াতটি তিলাওয়াত করলেন:
مَاۤ
اَغۡنٰی عَنِّیۡ مَالِیَہۡ (۲۸)
ہَلَکَ عَنِّیۡ سُلۡطٰنِیَہۡ (۲۹)
(পারা: ২৯, সূরা হাক্বাত, আয়াত: ২৮-২৯)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আমার কোন কাজে আসলো না আমার ধন-সম্পদ। আমার সমস্ত ক্ষমতা শেষ হয়ে গেছে।
ô খলিফা মুতাসিম অনেক বড় অত্যাচারি ও কঠোর হৃদয়ের অধিকারী ছিলো, যখন তার অন্তিম মূহুর্ত চলে আসলো তখন সে নিজের বিছানায় শুয়ে ছটপট করছিলো আর বারবার বলছিলো:
لَوْ عَلِمْتُ اَنَّ عُمْرِی ھَکَذَا قَصِیْرٌ مَا فَعَلْتُ অর্থাৎ যদি আমি জানতাম যে, আমার বয়স এতো কম তাহলে আমি বাদশাহীও করতাম না। (ইহয়াউল উলুমুদ্দীন, ৪/৫৮২ পৃ:)
হে আশিকানে রাসূল! মনোযোগ দিন! এগুলো বাদশাহদের শিক্ষনীয় বাণী, ঐসব বাদশাহ যারা আরাম-আয়েশের জীবন কাটিয়েছে, ধন-ভান্ডারের আধিপত্য তাদের আয়ত্বে ছিলো, সেবক ও সেবিকার কোন কমতি ছিলো কিন্তু যখন দুনিয়া থেকে বিদায় নিলো তখন তারা কী নিয়ে গেলো...? শুধুমাত্র একটি কাফন...!! আর কিছুই না। সুতরাং এটা শিক্ষার জায়গা, আমাদেরও উচিত দুনিয়া সাজানোর চিন্তা বাদ দেয়া আর যা কিছু আল্লাহ পাক দান করেছেন, সেগুলোর মাধ্যমে আখিরাত অর্জনে লেগে যাওয়া।
صَلُّوا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلٰی مُحَمَّد