Book Name:Qaroon Ko Naseehat
সামনে এমন একটি নিকৃষ্ট অপবাদ হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام এর উপর দেয়ার তার সাহস হলো না আর সে আল্লাহ পাকের ভয়ে সত্য বলে দিলো।
কারূনের এমন নিকৃষ্ট কর্মকান্ড দেখে হযরত মূসা عَلَیْہِ
السَّلَام খুবই কষ্ট পেলেন, তিনি সিজদাবনত আরয করলেন: হে আল্লাহ
পাক!
যদি আমি তোমার সত্যিকার রাসূল হয়ে থাকি তবে কারূনের উপর গযব নাযিল করো। হযরত মূসা عَلَیْہِ
السَّلَام এর এই দোয়া কবুল হলো আর হুকুম করা হলো: হে মূসা عَلَیْہِ السَّلَام ! জমিনকে আপনার হুকুম মান্য করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, আপনি তাকে যা ইচ্ছা হুকুম করুন। অতএব হযরত মূসা
عَلَیْہِ السَّلَام জমিনকে হুকুম দিলেন: হে জমিন! তুমি কারূন, তার সঙ্গী এবং তার সমস্ত সম্পদ নিজের ভেতরে ধ্বসিয়ে নাও।
(হাশিয়া সাভী মাআ জালালাইন, পারা: ২০, সূরা ক্বাসাস, আয়াতের পাদটিকা: ৭৬-৮১, ২/৩০০-৩০৩)
صَلُّوا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلٰی مُحَمَّد
কারূনকে পাঁচটি উপদেশ
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! কুরআনে করীমের কয়েকটি স্থানে শিক্ষার জন্য কারূনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পারা ২০, সূরা ক্বাসাস এর ৭৬ ও ৭৭ নং আয়াতে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:
اِنَّ قَارُوْنَ كَانَ مِنْ قَوْمِ مُوْسٰى فَبَغٰى عَلَیْهِمْ۪-وَ اٰتَیْنٰهُ مِنَ الْكُنُوْزِ مَاۤ اِنَّ مَفَاتِحَهٗ لَتَنُوْٓاُ بِالْعُصْبَةِ اُولِی الْقُوَّةِۗ-اِذْ قَالَ لَهٗ قَوْمُهٗ لَا تَفْرَحْ اِنَّ اللّٰهَ لَا یُحِبُّ
(পারা: ২০, সূরা: ক্বাসাস, আয়াত: ৭৬-৭৭)) কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: নিশ্চয় কারূন মূসার সম্প্রদায়ভুক্ত ছিলো, অতঃপর সে তাদের উপর অত্যাচার করেছে; এবং আমি তাকে এত ধন-ভাণ্ডার দান করেছি, যেগুলোর চাবি একটা বলবান দলের উপরও ভারী ছিলো; যখন তাকে তার সম্প্রদায়