Kamyab Tajir Kay Ausaf

Book Name:Kamyab Tajir Kay Ausaf

ব্যবসায়ী কেমন হওয়া উচিৎ?

হযরত মুয়ায বিন জবল رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত; হুযুর পুরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: নিঃসন্দেহে সবচেয়ে পবিত্র উপার্জন ব্যবসায়ীর, যে কথা বলে তো মিথ্যা বলে না যখন তার কাছে আমানত রাখা হয়, তখন তাতে খিয়ানত করে না যখন ওয়াদা করে, তখন তা ভঙ্গ করে না যখন কোন জিনিস কিনে, তখন এর দোষ-ত্রুটি বের করে না যখন কোন কিছু বিক্রি করে, তখন এর অনর্থক প্রশংসা করে না যখন তার কাছে কারো কোন জিনিস আসে, তখন আদায় করতে অলসতা করে না এবং যখন তার কিছু জিনিস অন্যের উপর আসতো, তখন তা নেওয়ার মধ্যে কঠোরতা করতো না (শুয়াবুল ঈমান, /২২১, হাদীস- ৪৮৫৮) স্মরন রাখবেন! ব্যবসা হোক বা অন্যান্য লেনদেন, কাউকে ধোঁকা দেওয়া বা মিথ্যা বলা মারাত্মক অপরাধ এবং অনেক বড় খিয়ানত অতঃপর হযরত সুফিয়ান বিন আসিদ হাদরামী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত; আমি মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করতে শুনেছি: খুবই বড় খিয়ানতের কথা যে তুমি তোমার ভাইকে কোন কথা বললে, আর সে তোমাকে কথার সত্য জেনেছে অথচ তুমি তাকে মিথ্যা বলছো

(আবু দাউদ, কিতাবুল আদব, /৩৮১, হাদীস- ৪৯৭১)

এমনিভাবে হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: ক্রেতা বিক্রেতা যতক্ষন পর্যন্ত বেঁচা কেনা সম্পূর্ণ করে না নেয় তাদের অধিকার রয়েছে, যদি তারা বেঁচা কেনায় সত্য বলে এবং সত্য বর্ণনা করে, তবে বেঁচা কেনার মধ্যে বরকত ঢেলে দেওয়া হয় আর যদি তারা গোপন করে এবং মিথ্যা বলে, তবে হয়ত সামান্য লাভ করবে, কিন্তু নিজেদের বেঁচা কেনার বরকত শেষ করে ফেলবে, কেননা মিথ্যা শপথ পণ্য তো বিক্রি করে দেয় কিন্তু বরকত নিঃশেষ করে দেয় (আত-তারগীব ওয়াত-তারহীব, কিতাবুল বুয়ু, নং, ৩৩৬ পৃষ্ঠা)

 

্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! যখন স্বাভাবিক ভাবে মিথ্যা বলা গুনাহ্, তবে কোন মুসলমান ভাইয়ের সাথে বেঁচা কেনার কার্যকলাপে মিথ্যা বলে তার কাছ থেকে চিনিয়ে নেয়া কি পরিমান মারাত্মক হবে। শত আফসোস! যে আজকাল খুব বেশী পরিমানে মিথ্যা বলাটাকে পূর্নতা ও উন্নতির চিহৃ আর সত্যকে নির্বোধ ও উন্নতির পথে বাঁধা মনে করা