Book Name:Kamyab Tajir Kay Ausaf
বিন আওয়াম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কে দুই বা তিন বার বনু কুরাইযার দিকে আসা যাওয়া করতে দেখেছি। ফিরে আসার সময় আমি এর কারণ জিজ্ঞাস করলে তিনি رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বললেন: হে আমার পুত্র! আসলেই কি তুমি আমাকে দেখেছ? আমি আরজ করলাম: জ্বি, হ্যাঁ! তখন তিনি رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বললেন; হুযুর পুরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন: “বনু কুরাইযার সংবাদ কে আনবে? অতঃপর আমি এই কাজটি সম্পাদন করি এবং যখন ফিরে এসে রাসূলের দরবারে উপস্থিত হই, তখন হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আমার জন্য নিজের সম্মানীত বাবা মাকে একত্রিত করে ইরশাদ করেন: فِدَاكَ اَبی وَ اُمِّی۔ অর্থাৎ হে জুবাইর! তোমার উপর আমার বাবা মা কোরবান।”
(সহীহুল বুখারী, কিতাব ফজায়েলে আসহাবুন্নবী, হাদীস- ৩৭২০, ২য় খন্ড, ৫৩৯ পৃষ্ঠা)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! ব্যবসা বানিজ্যকারী ও আমরা সবাই দা’ওয়াতে ইসলামীর দ্বীনি পরিবেশে সম্পৃক্ত হয়ে আমলী ভাবে বিভিন্ন দ্বীনি কাজের মধ্যে নিজেকে নিজে ব্যস্ত রাখি, যেন নিজেও নেকীপূর্ণ জীবন অতিবাহিত করতে পারি এবং অন্যান্যদের কাছেও নেকীর দাওয়াত পৌঁছানোর সৌভাগ্য অর্জন হতে থাকে। দা’ওয়াতে ইসলামীর দ্বীনি পরিবেশের বরকতে জানি না কতো লোকের জীবনের মধ্যে মাদানী পরিবর্তন এসে গেছে। আসুন! এক ক্রিকেটের শৌখিনের মাদানী বাহার শুনি যে, সে কিভাবে দা’ওয়াতে ইসলামীর দ্বীনি পরিবেশে সম্পৃক্ত হলো এবং তার সম্পৃক্ত হওয়ার পর কিরূপ বরকত অর্জন হলো। অতঃপর
বাবুল মদীনা (করাচী) বলদিয়া টাউনে বসবাস রত মাদানী ইসলামী ভাইয়ের বয়ানের সারাংশ হলো, আমার জীবন দিন রাত ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার স্বাদে বিভোর ছিল ক্রিকেটের সৌখিন ছিলো। ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার বাস্তবতা আমার উপর কিছুটা এরূপ প্রকাশিত হলো। ১৯৯৬ সালের কথা, আমার কতিপয় বন্ধু যারা আমার সাথেই খেলতো। তারা দা’ওয়াতে ইসলামীর দ্বীনি পরিবেশ পেয়ে গেলো। ফরযানে দা’ওয়াতে ইসলামী দ্বারা তাদের চরিত্র ও কর্মকান্ডে একটি প্রকাশ্য পার্থক্য দেখা দিলো। খেলা ধূলা থেকে দূরে থেকে দ্বীনি কাজের মধ্যে অংশগ্রহণ করতে লাগলো যেখানে তারা নিজেও নামাযের অনুসারী হয়ে গেলো।