Book Name:Kamyab Tajir Kay Ausaf
অভিভাবক নির্ধারণ করেন। অতঃপর হযরত জুবাইর বিন আওয়াম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ খুবই মানতদারীর সাথে তাঁদের সম্পদের হিফাযত করতেন এবং তাঁদের সন্তানদের জন্য নিজের উপার্জন থেকে খরচ করতেন। (তারিখে মদীনা, দামেস্ক, হযরত জুবাইর বিন আওয়াম, ১৮তম খন্ড, ৩৯৭ পৃষ্ঠা)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমাদের বুযুর্গানে দ্বীন উদাহরণস্বরূপ সাহাবায়ে কিরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان বা এর আগের নেককার লোকেরা ব্যক্তিগত কার্যাবলী এবং ব্যবসার মধ্যে সত্যতা, আমানত, ন্যায়পরায়ণতা, তাকওয়া, পরহেযগারী, দয়া, কল্যাণ, আত্মত্যাগ ও হিতাকাঙ্ক্ষীতাকে নিজের করে ইসলামের প্রদত্ত ব্যবসার নিময় কানুনের উপর অধিষ্ঠিত থাকতেন। এই কারণে তাঁদের পবিত্র সময়ে মুসলমানগণ সুখী ছিলেন। কিন্তু বর্তমান জুলুম, অন্যায়, মিথ্যা, ধোকাবাজী, স্বার্থপরতা, সূদ প্রথার মতো বিষয়াবলী মুসলমানদের চরিত্রের মধ্যে প্রবেশ করেছে। কিন্তু সে ছাড়া যাকে আল্লাহ পাক রক্ষা করেন। বিভিন্ন ধরণের মন্দ বিষয়াবলীর কারণে এখন ব্যবসায়ীক অবস্থা ভালো নেই। যদি আমরা! কুরআন ও হাদীসের বর্ণিত নিয়ম কানুনের উপর আমল করে রিযিক অর্জন করি, ইসলামী ব্যবসার কর্মকাণ্ড শিখি ও আমল করি, ব্যবসার কর্মকাণ্ডের মধ্যে আমাদের বুযুর্গদের অনুসরণ করি, তবে اِنۡ شَآءَ اللہ ইসলামী সমাজের মধ্যে চমৎকার পরিবর্তন আসবে এবং মুসলমান পূনরায় সুখী হয়ে যাবে। আর সব থেকে বড় এটাই যে, আল্লাহ পাক ও তাঁর প্রিয় হাবীব صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সন্তুষ্টি ও আনন্দও নসিব হবে।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! সদরুশ শরীয়া, মুফতী মুহাম্মদ আমজাদ আলী আযমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বাহারে শরীয়াতের মধ্যে রোজগার ও ব্যবসার উদ্দেশ্য বর্ণনা করেন, আসুন! এর সারাংশ শুনি; মানুষের প্রয়োজনীয়তা যত বেশি, তা অর্জন করাটা ততটাই কঠিন। যদি কোন ব্যক্তি তার সমস্ত প্রয়োজনীয়তা পূর্ণ করার জন্য একাই কাজ করতে বসে যায়, (উদাহরণস্বরূপ- ক্ষেত-খামার করে তারপর সবজী নিজেই কাটে, কাপড় বুনে নিজেই সেলাই করে,) তবে হয়তো ব্যর্থ হয়ে যাবে এবং নিজের জীবনের দিনগুলো সহজে অতিবাহিত করতে পারবে না। এই জন্য এর মধ্যে আল্লাহ পাকের হিকমত রয়েছে যে,