Book Name:Kamyab Tajir Kay Ausaf
তিনি সকল মানুষকে বিভিন্ন শাখায় ও বিভিন্ন প্রকারের মধ্যে বিভক্ত করেছেন। যেন প্রত্যেক দল যে যার কাজ করবে এবং সব দল থেকে সকল লোকের প্রয়োজনীয়তা পূরণ হয়। উদাহরণস্বরূপ- কেউ কৃষি কাজ করে, কেউ কাপড় তৈরী করে, কেউ নিজ হাত দিয়ে অন্যের কাজ করে। যেভাবে কৃষকের কাপড়ের প্রয়োজন হয়, তেমনিভাবে কাপড় প্রস্তুতকারীর শাক-সবজী ইত্যাদি নেওয়ার জন্য কৃষকের মুখাপেক্ষী হতে হয়, প্রত্যেককে একে অপরের প্রয়োজন হয়। এজন্য এই প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি হয় যে, প্রত্যেকের বস্তু যাতে অন্যের কাছে পৌঁছে যায়, যেন সকলের প্রয়োজনীয়তা পূর্ণ হয়ে যায়, আর কাজের মধ্যেও কাঠিন্যতা না হয়। এখান থেকেই কার্যাবলীর ধারাবাহিকতা শুরু হলো আর ক্রয় বিক্রয় ইত্যাদি সব ধরণের কার্যাবলী অস্থিত্বে এসেছে।
(বাহারে শরীয়াত, ২/৬০৮)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! নিঃসন্দেহে ব্যবসা বা বেচা-কেনা একটি ভালো ও জায়িয কাজ। এজন্য আমাদের প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সাহাবায়ে কিরামগণ عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان একে অপরের নিকট বেচা-কেনা করতেন এবং কাপড় ইত্যাদির ব্যবসাও করতেন। আর এমনিভাবে তাঁদের পর ওলামা ও সালেহিনে কিরামগণও رَحِمَہُمُ الله (অর্থাৎ নেককার লোকগণও) ব্যবসা করতেন। কিন্তু কখনো ইসলাম প্রদত্ত ব্যবসায়ীক পদ্ধতি থেকে সরে যেতেন না।
আল্লাহ পাক ৫ম পারার সূরা নিসার ২৯নং আয়াতের মধ্যে ইরশাদ করেন:
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ
(পারা- ৫, সূরা- নিসা, আয়াত- ২৯)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: হে ঈমানদারগণ! পরস্পরের মধ্যে একে অপরের সম্পদ অন্যায় ভাবে গ্রাস করোনা। কিন্তু এ যেকোন ব্যবসা তোমাদের পারস্পরিক রেযামন্দিতে হয়।
ইমাম আমহদ বিন হাজর মক্কী হায়তমী শাফেয়ী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: এই আয়াতে মোবারকার মধ্যে আল্লাহ পাক স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, ব্যবসা ঐ পদ্ধতিতেই জায়েয হবে যখন উভয় পক্ষের সন্তুষ্টিতে হয়। আর সন্তুষ্টি তখনি অর্জিত হতে পারে, যখন সেখানে