Book Name:Aaqa Ka Safar e Meraj
রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم দোযখে এমন কিছু লোক দেখেছেন, যারা আগুনের ডালে ঝুলে ছিলো। হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم জিজ্ঞাসা করলেন: হে জিব্রাঈল! এরা কারা? আরয করলেন: এরা হলো সেই লোক, যারা দুনিয়ায় নিজের পিতামাতাকে গালি দিতো। (আয যাওয়াজির, ২/১২৫)
সেই রাতে নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এমন কিছু মানুষের নিকট দিয়েও অতিক্রম করেছেন যাদের সামনে ও পেছনে ছেঁড়া কাপড় ঝুলছিলো এবং তারা চতুষ্পদ প্রাণীর ন্যায় চড়ে কাঁটাযুক্ত ঘাস, কাঁটাযুক্ত গাছ এবং জাহান্নামের তপ্ত পাথর গিলছিলো। নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم জিজ্ঞাসা করলেন: হে জিব্রাঈল! এরা কারা? আরয করলেন: এরা হলো সেই লোক, যারা নিজেদের সম্পদের যাকাত দিতো না, আল্লাহ পাক তাদের প্রতি অত্যাচার করেননি এবং আল্লাহ পাক বান্দার প্রতি অত্যাচার করেন না। (আত তারগীব ওয়াত তারহীব, কিতাবুস সাদাকাত, ২৬৩ পৃষ্ঠা, হাদীস ১৫)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! চিন্তা করুন! গীবত করা, দোষত্রুটি খোঁজা, পিতামাতাকে গালি দেয়া এবং ফরয হওয়া স্বত্বেও যাকাত না দেয়া কিরূপ ধ্বংসাত্মক কাজ। আফসোস! আমাদের সমাজে এই চারটি গুনাহ ব্যাপকভাবে প্রসার লাভ করছে এবং এতই ব্যাপকভাবে প্রসার লাভ করছে যে, مَعَاذَ الله সুতরাং এই মন্দ কাজে লিপ্ত মানুষের উচিৎ, দ্রুত এই মন্দ কাজ ছেড়ে দিয়ে সত্যিকার তাওবা করে নেয়া, অন্যথায় যদি সুযোগ চলে যায় এবং তাওবা করার পূর্বেই মৃত্যু এসে যায় তবে তো ধ্বংসই ধ্বংস। মনে রাখবেন! দুনিয়ার জীবন কয়েকদিনের আর আখিরাতের জীবন সর্বদাই বিরাজমান থাকবে। নিশ্চয় সফলকাম সেই, যে নিজের গুনাহ থেকে সত্যিকার তাওবা করে নিজের আখিরাত সজ্জিত করতে লেগে যায়। আল্লাহ পাক এবং রাসূল صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সন্তুষ্টিমূলক কাজ করে জান্নাতে প্রবেশ করুন। আল্লাহ পাক ৪র্থ পারার সূরা আলে ইমরানের ১৮৫নং আয়াতে ইরশাদ করেন:
فَمَنۡ زُحۡزِحَ عَنِ النَّارِ وَ اُدۡخِلَ الۡجَنَّۃَ فَقَدۡ فَازَ ؕ وَ مَا الۡحَیٰوۃُ الدُّنۡیَاۤ اِلَّا مَتَاعُ الۡغُرُوۡرِ (۱۸۵)
(পারা ৪, আলে ইমরান, আয়াত ১৮৫)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: যাকে আগুন থেকে রক্ষা করে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে, সে উদ্দেশ্যস্থলে পৌঁছেছে এবং পার্থিব জীবনতো এ ধোকারই সম্পদ।