Book Name:Jisme Pak Ke Mojizat
উচ্চতা অর্থাৎ পবিত্র দেহের উচ্চতার মু’জিযা। মানুষের একটা উচ্চতা থাকে। উচ্চতা দেহের গঠন অনুযায়ী হলে দেখতে ভালো লাগে। যেমন কারো শরীর যদি একদম হালকা পাতলা ও উচ্চতা যদি খুব লম্বা হয় তাহলে দেখতে অদ্ভূত লাগবে। একইভাবে যদি শরীর ভারী হয় তবে উচ্চতা অপেক্ষাকৃত খাটো হয়, সেক্ষেত্রেও অদ্ভূত মনে হবে। মোটকথা, মানুষের উচ্চতা, তার সৌন্দর্যে প্রভাব ফেলে। সৌন্দর্যের দাবি হলো- শরীর যেনো বেশি শীর্ণ না হয় আবার খুব বেশি মোটাও যেনো না হয়। সাথে সাথে উচ্চতাও যেনো অতিরিক্ত লম্বা না হয় আবার খুব বেশি খাটোও যেন না হয় বরং মাঝামাঝি হয়।
আমাদের আক্বা ও দাতা, প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم সমস্ত সুন্দরের চেয়েও সুন্দরতম। কাজেই মহান রবও তার দেহ মুবারককে খুবই সুসামঞ্জস্যপূর্ণ করে সৃষ্টি করেছেন। তাঁর পবিত্র দেহের উচ্চতা অতিরিক্ত লম্বা ছিলো না, বেশি খাটোও ছিলো না বরং মাহবুবে খোদা, মুহাম্মাদে মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم‘র পবিত্র দেহের উচ্চতা অত্যন্ত সুষম এবং মাঝারি গড়নের ছিলো।
তবে এখানে একটি সমস্যা আছে। সৌন্দর্যের ধারণা অনুযায়ী একজন ব্যক্তির উচ্চতা মাঝারি গড়নের হতে হবে। তবে সমস্যা হবে তখন, যখন কোনো দীর্ঘদেহী ব্যক্তি রাসূলে করীম صَلَّی
اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم‘র সম্মুখে উপস্থিত হবে, তার উচ্চতা রাসূলে পাক صَلَّی
اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم‘র উচ্চতার চাইতে বেশি দেখাবে। কিন্তু এমন তো হতে পারে না। আমাদের আক্বা
صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم তো সমস্ত উঁচুদের চেয়েও উচ্চতর।
সারে উঁচো ছে উঁচা সমঝিয়ে জিসে
হে উস উঁচে সে উঁচা হামারা নবী।
কোনো মানুষকে আপাতদৃষ্টিতে মাহবুবে খোদা, صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم‘র চাইতে উঁচু দেখাবে এমনটা আল্লাহ পাক মঞ্জুর করেন নি। যেমন- মুসলমানদের প্রিয় আম্মাজান, হযরত আয়েশা সিদ্দিকা ত্বয়্যিবা, ত্বহিরা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا বলেন, নুরানী নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم যখনই লম্বা ব্যক্তিদের মাঝে হাঁটতেন তখন রাসূলে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে তাদের চেয়ে উঁচু দেখাতো। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো যখনই লম্বা ব্যক্তিদের কাছ থেকে পৃথক হতেন তখন তার উচ্চতা মুবারক মাঝারি গড়নের পরিলক্ষিত হতো।
(খসায়িসুল কুবরা, খণ্ড- ১, পৃষ্ঠা- ১১৬)