সুবাসিত ফুল صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ‘র শ্রবণশক্তি এমন যে যমীনে বসে হাজারো কিলোমিটার দূরে আসমানের গর্জনের শব্দও শুনতে পান।

প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم‘র শ্রবণশক্তির অনন্য মহিমা

    হে আশিকানে রাসূল, এখন প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم‘র শ্রবণশক্তির একটি মহান শান শুনুন। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে- যখন ২টি বস্তুর একে অপরের সাথে সংঘর্ষ হয়, তখন শব্দের সৃষ্টি হয়। এই শব্দ আমাদের শ্রবণ-সীমার ভেতরে থাকলে, তবে আমরা তা শুনতে পাই; অন্যথায় শুনতে পাই না।

    আবার, কেবল শব্দ শুনে লাভ নেই। তা বোধগম্য হওয়ার জন্য ঐ শব্দকে অর্থবহ শব্দ হতে হবে। আবার ঐ ভাষার শব্দ হতে হবে যে ভাষা আমরা বুঝতে পারি। অর্থাৎ এই সব শর্ত পূরণ হতে হবে। শব্দ কান পর্যন্ত পৌঁছানো, শব্দ অর্থবহ হওয়া, ঐ শব্দের ভাষা জানা - তখন গিয়ে আমরা কোনো শব্দ শুনে অনুধাবন করতে পারবো। কিন্তু রাসূলে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم অনন্য মহিমা দেখুন, তিনি হাজারো কিলোমিটার দূরের আওয়াজও শোনেন। লাখো বছর পরের ঘটনার আওয়াজও শোনেন। চলুন, আরো একটু সামনে অগ্রসর হই। এতক্ষণ যা শুনেছি, সেখানে কমপক্ষে শব্দের বিষয় ছিলো। কিন্তু কেমন তাঁর অতুলনীয় মহিমা- যেখানে স্পষ্টত কোনো শব্দ সৃষ্টিই হয়নি, শব্দতরঙ্গ তৈরি হয়নি, অর্থবহ শব্দও নেই- সেখানে আমাদের প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم তা শুনতে পেতেন এবং তা অনুধাবনও করতে পারতেন।

    আবু দাউদ শরীফের হাদীস- হযরত জাবির رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন, খায়বারের যুদ্ধের সময় এক অমুসলিম মহিলা একটি ভুনা করা ছাগল বারগাহে রিসালাতে উপহার হিসেবে পেশ করলো। মহান নবী, দয়ার প্রতিচ্ছবি صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم উপহার গ্রহণ করলেন। ভুনা করা ছাগলের একটি পা নিয়ে নিজে আহার করা শুরু করলেন। সাহাবায়ে কিরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان গণও মাংস খাওয়া শুরু করলেন। কেবল এক-আধ গ্রাস খাবার খাওয়া হয়েছে, আচমকা তিনি সকলকে খেতে নিষেধ করে দিলেন। তারপর ঐ অমুসলিম মহিলাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন- তুমি কি এই মাংসে বিষ মিশিয়েছো? সে বলল, হ্যাঁ, বিষ মিশিয়েছি। কিন্তু আপনাকে এই কথা কে বলেছে? মহান শ্রবণশক্তির অধিকারী নবী, রাসূলুল্লাহ صَلَّی اللهُ