কোটি কোটি মুসলমান। তো, এমন কোনো সময় নেই যখন কেউ না কেউ, কোথাও না কোথাও দরুদ শরীফ পাঠ করছে না। দিন কিংবা রাত, সকাল কিংবা সন্ধ্যা, দুপুর কিংবা বিকেল - সর্বক্ষণ লাখ লাখ আশিকানে রাসূল বারগাহে মুস্তফায় দরুদ শরীফের নজরানা পেশ করছে আর রাব্বুল আ’লামীন তার প্রিয় মাহবুব صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم‘র কান মুবারকে এমন মহিমা দান করেছেন যে তিনি সর্বক্ষণ সকলের দরুদ পাঠ করা শ্রবণ করছেন।

(৪) চোখ মুবারকের মু’জিযা

    প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা, এবার চলুন ইমামুল আম্বিয়া, মাহবুবে খোদা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم‘র চোখ মুবারকের শান শ্রবণ করি -

চোখ মুবারকের সৌন্দর্য

    * নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم‘র চোখ মুবারক প্রশস্ত এবং খুব কালো ছিলো (দালায়িলুন নাবুওয়্যাহ লিল বায়হাকী, খণ্ড- ১, পৃষ্ঠা- ২১৩) * চোখ মুবারকের সাদা অংশে লাল রেখা ছিলো (দালায়িলুন নাবুওয়্যাহ লিল বায়হাকী, খণ্ড- ১, পৃষ্ঠা -২১০) * এবং রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم‘র চোখ মুবারক প্রাকৃতিকভাবে কাজল-কালো ছিলো (অর্থাৎ যদিওবা তিনি সুরমা ব্যবহার করতেন, কিন্তু সুরমা ব্যবহার করার প্রয়োজন ছিলো না) (দালায়িলুন নাবুওয়্যাহ লিল বায়হাকী, খণ্ড- ১, পৃষ্ঠা- ২৪৮) * হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস رَضِیَ اللهُ عَنْہُمَا বলেন, অন্য শিশুরা যখন ঘুম থেকে উঠতো তখন তাদের চুল এলোমেলো আর চোখ তন্দ্রাচ্ছন্ন থাকতো। কিন্তু প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم‘র পবিত্র শৈশবে, যখন ঘুম থেকে জাগ্রত হতেন তখন মাথা মুবারকে তেল এবং চোখে সুরমা লাগানো থাকতো।

(ত্ববকাতুল কুবরা, খণ্ড- ১, পৃষ্ঠা- ৯৬)

প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم‘র তাকানোর মুবারাক পদ্ধতি

    * আমাদের প্রিয় নবী, রাসূলে হাশিমী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم‘র পবিত্র স্বভাব ছিলো তিনি লজ্জাশীলতার কারণে দৃষ্টি নত রাখতেন এবং যখন কারো দিকে তাকাতেন তখন চোখের কোনা দিয়ে তাকাতেন।

(দালায়িলুন নাবুওয়্যাহ লিল বায়হাকী, খণ্ড- ১, পৃষ্ঠা- ২৮৭)