মুসলমানদের চতুর্থ খলিফা, হযরত আলীউল মুরতাযা শেরে খোদা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন, হুযুরে আকরাম, নূরে মুজাসসাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ‘র উচ্চতা মুবারক মাঝারি গড়নের ছিলো কিন্তু যখন তিনি লোকদের মাঝে তাশরীফ নিতেন তখন সবার চেয়ে উঁচু দেখা যেতো।

(শরহুয যুরক্বানী, খণ্ড- ৫, পৃষ্ঠা- ৪৮৫)

অন্তর্নিহিত উচ্চতা ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য উপায়ে প্রকাশ পেতো

    হে আশিকানে রাসূল, আল্লামা যুরক্বানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এ ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করেছেন। দেখুন, আমরা আমাদের এই চোখ দিয়ে কারো বাহ্যিক দেহ দেখতে পাই কিন্তু তার গুণকে চোখ দিয়ে দেখতে পাই না। উদাহরণস্বরুপ- যায়েদ একজন ব্যক্তি। আমরা তার ৫ বা ৬ ফিট গড়নকে দেখতে পাই। কিন্তু যায়েদ হাফিযে কুরআন, আমরা তার হিফযকে দেখতে পাই না। যায়েদ আলিমে দ্বীন, আমরা তার আলিম হওয়ার বিষয়টা দেখতে পাই না। যায়েদ কোনো বিষয়ে পারদর্শী, আমরা তার পারদর্শিতাকে দেখতে পাই না।

    কিন্তু কুরবান হয়ে যান, আল্লাহ পাকের কুদরতের কত মহান শান! আল্লামা যুরক্বানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন, রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم যখন লোকদের মাঝে থাকতেন তখন তার পবিত্র দেহের উচ্চতা উঁচু দেখা যেতো। তা দ্বারা উদ্দেশ্য নয় যে রাসূলে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ‘র পবিত্র উচ্চতা তখন লম্বা হয়ে যেতো, পরে মূল অবস্থায় ফিরে যেতো। না, বিষয়টা এমন নয়। বরং আল্লাহ পাক তার মাহবুব صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে যে অন্তর্নিহিত উচ্চতা ও মর্যাদা দান করেছেন। সেই বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলীর যে শ্রেষ্ঠত্ব ও উচ্চতা, সেই অন্তর্নিহিত উচ্চ মর্যাদা লোকের চোখে দৃশ্যমান হতো। এবং তখন, তাদের অনুভূত হতো, রাসূল صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم সর্বাধিক উচ্চতা ও দীর্ঘদেহের অধিকারী । (শরহুয যুরক্বানী, খণ্ড- ৫, পৃষ্ঠা- ৪৮৫)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                         صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد