Book Name:Jisme Pak Ke Mojizat
সাহাবায়ে কিরাম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ ও তাসাওউরে মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা, এই ঘটনা থেকে আমরা একটি মাদানী ফুল শিখতে পেরেছি যে, সাহাবায়ে কিরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان যখন নবীয়ে পাক, সাহিবে লাওলাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم হতে বাহ্যিকভাবে দূরে অবস্থান করতেন, তখন রাসূলে আকরাম, নূরে মুজাসসাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ‘র প্রিয় নুরানী চেহারা, তাঁর অপরূপ সৌন্দর্য ও পবিত্র অভ্যাসসমূহের কল্পনা করে হৃদয়ে প্রশান্তি অর্জন করতেন।
سُبْحٰنَ
الله! এটি অত্যন্ত প্রিয় একটি আমল। হায়! আমরা গোলামদেরও যদি এই সৌভাগ্য নসীব হয়ে যেতো! আমরাও যদি নির্জনে চোখ বন্ধ করে বসে যেতাম। কখনো সবুজ গম্বুজের কল্পনা, কখনো সোনালী জালির ধ্যানে বিভোর হয়ে যেতাম। আর আল্লাহ তাআলা তৌফিক দিলে রাসূলে আকরাম, শাহে বনী আদম صَلَّی
اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم‘র হুলিয়া মুবারকের বর্ণনা কিতাব হতে পড়ে অন্তরে গেঁথে নিতাম। প্রিয় নবী
صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم‘র মুবারক অভ্যাসগুলো সম্পর্কেও পড়তাম, তাও অন্তরে গেঁথে নিতাম এবং মাঝেমধ্যে চোখ বন্ধ করে, অবনত মস্তকে রাসূলে পাক صَلَّی
اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم‘র মুবারক অভ্যাসগুলো কল্পনা করে প্রাণাধিক প্রিয় নবী صَلَّی
اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم‘র পবিত্র অভ্যাসগুলোতে বিভোর হয়ে যেতাম। বিশ্বাস করুন, হৃদয়ে প্রশান্তি আসবেই। ঈমান এমনভাবে পাকাপোক্ত হবে যার কোনো প্রকার উপমা নেই...!!
প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ‘র শ্রেষ্ঠত্বের আলোচনা করার উপকারিতা
سُبْحٰنَ الله! سُبْحٰنَ الله! সাহাবায়ে কিরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان‘র কত উচ্চ শান...! কাউকে নামায শেখানো, ওযুর পদ্ধতি শেখানো, রোযা ও যাকাত ইত্যাদির মাসআলা বলা, এসব কাজও অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং সাহাবায়ে কিরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان মানুষকে এই বিষয়গুলোও শিখাতেন। তবে, সর্বাগ্রে সাহাবায়ে কিরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ‘র বৈশিষ্ট্য এবং শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করতেন। কেননা প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ‘র গুণাবলী বর্ণনা করা এবং তা শোনার মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়, প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم‘র সাথে রুহানী সম্পর্ক দৃঢ় হয়। সম্পর্ক যতো দৃঢ় হয়, ঈমান ততো দৃঢ় হয়। ঈমান যতো দৃঢ় হয়, ততই নেক আমলে মন বসে এবং এভাবে মানুষ জান্নাতের পথে চলা আরম্ভ করে।