Book Name:Safar e Meraj Aur Pyari Namaz

করেছেন। যখন আমি মুসা عَلَیْہِ السَّلَام এর নিকট পৌঁছলাম তখন তিনি বললেন: আপনার রব আপনার উম্মতের উপর কি ফরয করেছেন? আমি বললাম: প্রতিদিন ও রাতে ৫০ ওয়াক্ত নামায ফরয করেছেন। হযরত মুসা عَلَیْہِ السَّلَام বললেন: আপনার রবের নিকট গিয়ে এই নামাযগুলো কমিয়ে নিন, আপনার উম্মত ৫০ ওয়াক্ত নামায পড়তে পারবে না, কেননা আমি বনী ইসরাঈলকে পরীক্ষা করেছি (তাদের উপর দিনে ও রাতে মাত্র ২ ওয়াক্ত নামায ফরয ছিলো, যা তারা আদায় করতে পারেনি, তো আপনার উম্মত ৫০ ওয়াক্ত নামায কিভাবে আদায় করবে)। আমাদের প্রিয় আক্বা, মক্কী মাদানী মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: আমি আমার প্রতিপালকের নিকট ফিরে গেলাম এবং আরয করলাম: হে প্রতিপালক! আমার উম্মতের প্রতি কিছুটা সহজতা করুন। আল্লাহ পাক ৫ ওয়াক্ত নামায কমিয়ে দিলেন, আমি আবার হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام এর নিকট পৌঁছলাম এবং বললাম যে, আল্লাহ পাক ৫ ওয়াক্ত নামায কমিয়ে দিয়েছেন। অতঃপর মূসা عَلَیْہِ السَّلَام একই কথা বললেন, এমনকি কম করাতে করাতে শুধুমাত্র ৫ ওয়াক্ত নামায রয়ে গেলো, তখন আল্লাহ পাক ইরশাদ করলেন: প্রিয় মাহবুব صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم! দিন ও রাতের এই ৫ ওয়াক্ত নামায এবং এতে প্রত্যেক নামাযে ১০ গুণ প্রতিদান পাবে, অতএব এই নামায (পড়ার ক্ষেত্রে ৫ ওয়াক্ত কিন্তু সাওয়াব ও  প্রতিদানের ক্ষেত্রে) ৫০ ওয়াক্তই থাকবে।

(বুখারী, কিতাবু মানাকিবুল আনসার, ৯৭৭ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৩৮৮৭)

 

            سُبْحٰنَ الله! কিরূপ ঈমানোদ্দীপক বর্ণনা, এই হাদীসে পাক থেকে আমরা অনেক মাদানী ফুল শিখতে পারি:

 

হাদীসে পাক থেকে অর্জিত মাদানী ফুল

            (১) প্রথমত ভাবার বিষয় হলো! হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام মেরাজ রজনীর কয়েক শতাব্দী পূর্বে ইন্তিকাল করেছেন, অতঃপর তিনি মেরাজ রজনীতে উম্মতে মুস্তাফার কল্যাণ কামনা করেছেন, এ থেকে জানা গেলো; আল্লাহ পাকের নেক বান্দারা, নবী, অলীগণ মৃত্যুর পরও সাহায্য করতে পারেন।

            (২) অতঃপর ভাবার বিষয় হলো! আল্লাহ পাক তো জানতেন যে, শেষ পর্যন্ত ৫ ওয়াক্ত নামাযই অবশিষ্ট থাকবে, তবে আল্লাহ পাক কেনো ৫০ ওয়াক্ত নামায ফরয করলেন, এতেও রহস্য লুকায়িত রয়েছে, আল্লাহ পাক প্রথমে ৫০ ওয়াক্ত নামায ফরয করেছেন, অতঃপর প্রিয় আক্বা, মক্কী মাদানী মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এবং হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام এর ওসীলায় ৫ ওয়াক্ত করে দিলেন, এ থেকে জানা গেলো; আল্লাহ ওয়ালাদের ওসিলা অনেক বড় নেয়ামত যে, তাঁদের সদকায় সহজতা প্রদর্শন করা হয়।           (৩) এটাও ভাবার বিষয় যে, হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام স্বয়ং নিজেই কলিমুল্লাহ, তিনি আল্লাহর সাথে কথা বলার আগ্রহও পোষণ করতেন, যখন হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام উম্মতে মুস্তফার প্রতি সহানুভূতি দেখাতে চাইতেন, তখন তিনি নিজেই আল্লাহ পাকের দরবারে আরয করে দিতেন যে, মাওলা! ৫০ ওয়াক্ত এই উম্মতের পক্ষে পড়া সম্ভব হবে না, কমিয়ে দিন। কিন্তু হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام নিজে আরয করলেন না, বরং প্রিয় আক্বা, মাহবুবে খোদা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর মাধ্যমে কম করালেন, জানা গেলো;