Book Name:Safar e Meraj Aur Pyari Namaz

রাতে দু’জন ব্যক্তি (অর্থাৎ জিব্রাইল ও মিকাইল عَلَیْہِمَا السَّلَام) আমার নিকট এলো এবং আমাকে পবিত্র ভূমিতে (অর্থাৎ বাইতুল মুকাদ্দাসে) নিয়ে গেলো। (বুখারী, কিতাবুল জানায়েয, ৩৮৬ পৃষ্ঠা, হাদীস: ১৩৮৬) আমি দেখলাম যে, এক ব্যক্তিকে শুয়ে আছে এবং তার শিয়রে (অর্থাৎ মাথার পাশে) এক ব্যক্তি পাথর নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এবং অনবরত (অর্থাৎ বারবার) পাথর দিয়ে তার মাথা পিষ্ঠ করছে, প্রতিবার পিষ্ঠ করার পর পুনরায় মাথা ঠিক হয়ে যেতো। আমি সেই ফেরেশতাদের বললাম: سُبْحٰنَ الله! এরা কারা? তারা আরয করলো: সামনে চলুন! (আরো দৃশ্য দেখানোর পর) ফেরেশতারা আরয করলো: প্রথম ব্যক্তি যাকে আপনি দেখেছিলেন (অর্থাৎ যার মস্তক পিষ্ঠ করা হচ্ছিলো) সে ছিলো, যে কুরআনে করীম পড়েছে অতঃপর তা ছেড়ে দিয়েছিলো এবং ফরয নামাযের সময় ঘুমিয়ে যেতো।

(বুখারী, কিতাবুল তাবীর, ১৭১৫-১৭১৪ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৭০৪৭)

 

বে-নামাযীর ১৫টি শাস্তি

            কিছু কিছু বর্ণনা অনুযায়ী যে ব্যক্তি অলসতার কারণে নামায বর্জন করবে, আল্লাহ পাক তাকে ১৫টি শাস্তি দিবেন: ৬টি দুনিয়ায়, ৩টি মৃত্যুর সময়, ৩টি কবরে এবং ৩টি কবর থেকে পুনরুত্থানের সময়। * দুনিয়ায় প্রাপ্ত ৬টি শাস্তি: (১) তার হায়াত থেকে বরকত শেষ করে দেয়া হবে
(২) তার চেহারা থেকে নেককার বান্দার চিহ্ন মুছে দেয়া হবে (৩) আল্লাহ পাক তাকে কোন আমলের সাওয়াব দিবেন না (৪) তার কোন দোয়া আসমান পর্যন্ত পৌঁছবে না (৫) দুনিয়ায় লোকেরা তাকে ঘৃণা করবে এবং (৬) নেককার বান্দার দোয়ায় তার কোন অংশ থাকবে না।
* মৃত্যুর সময় প্রদানকৃত ৩টি শাস্তি: (১) সে লাঞ্চিত হয়ে মরবে (২) ক্ষুধার্ত অবস্থায় মরবে এবং (৩) পিপাসার্ত অবস্থায় মরবে, যদি তাকে পৃথিবীর সমস্ত সমুদ্রের পানি পান করানো হয় তবুও তার পিপাসা নিবারণ হবে না। * কবরে প্রদানকৃত ৩টি শাস্তি: (১) তার কবরকে এতো সংকীর্ণ করে দেয়া হবে যে, তার পাঁজরের হাড় একটা অপরটার ভিতর ঢুকে যাবে
(২) তার কবরে আগুন প্রজ্জলিত করে দেয়া হবে অতঃপর সে দিনরাত আগুনে উলট পালট হতে থাকবে এবং (৩) তার কবরে একটি অজগর লেলিয়ে দেয়া হবে
, যার নাম اَلشُّجَاعُ الْأَقْرَع (অর্থাৎ টাকলা সাপ), তার চোখগুলো আগুনের হবে, আর নখ হবে লোহার, প্রতিটি নখের দৈর্ঘ্য এক দিনের দূরত্ব পর্যন্ত হবে, সে মৃত ব্যক্তির সাথে কথা বলবে: আমি اَلشُّجَاعُ الْأَقْرَع হলাম (অর্থাৎ টাকলা সাপ)। তার আওয়াজ বজ্রপাতের মতো হবে, সে বলবে: আমার প্রতিপালক আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, ফজরের নামায নষ্ট করার কারণে সূর্যোদয় পর্যন্ত দংশন করতে এবং যোহরের নামায নষ্ট করার কারণে আসর পর্যন্ত দংশন করতে এবং আসরের নামায নষ্ট করার কারণে মাগরিব পর্যন্ত দংশন করতে এবং মাগরিবের নামায নষ্ট করার কারণে ইশা পর্যন্ত দংশন করতে আর ইশার নামায নষ্ট করার কারণে ফজর পর্যন্ত দংশন করতে। যখনই সে মৃতকে দংশন করবে তখন সে ৭০ হাত পর্যন্ত জমিনে ধসে যাবে এবং সে কিয়ামত পর্যন্ত এই আযাবে লিপ্ত থাকবে। * কিয়ামতের দিন প্রদানকৃত ৩টি শাস্তি: (১) তা হলো কঠিন হিসাব (২) আল্লাহ পাকের অসন্তুষ্টি এবং (৩) জাহান্নামে প্রবেশ। (মাজালিসুল আশারা, আল মজলিসুস সামিন, ৭১ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৭৭)