Book Name:Safar e Meraj Aur Pyari Namaz

যান اِنْ شَآءَ الله ফয়যানে মেরাজের পাশাপাশি শাবানুল মুয়াযযম এবং রমযানুল মুবারকের অশেষ বরকত নসীব হবে। আল্লাহ পাক আমল করার তাওফীক দান করো।

اٰمین بِجاہِ خاتَمِ النَّبِیّٖیْن صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

ইতিকাফের অনুপ্রেরণা

            প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! اَلْحَمْدُ لِلّٰه রমযান মাসও আসি আসি করছে। اَلْحَمْدُ لِلّٰه রমযানুল মুবারক অনেক বরকতপূর্ণ মাস, রহমানের মাস, কুরআন অবতীর্ণের মাস এবং ক্ষমার মাস।

            আল্লাহ পাক আমাদেরকে রমযান মাস দেখার, এতে রোযা রাখার এবং অধিক পরিমাণে ইবাদত করার তাওফীক নসীভ করো। রমযান মাসের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো ইতিকাফ। নফল ইতিকাফ তো যে কোন সময় করা যায়, তবে যে ইতিকাফ সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ, তা রমযানুল মুবারকেই হয়ে থাকে। প্রিয় নবী, মক্কী মাদানী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم থেকে পুরো রমযান মাস ইতিকাফ করাও প্রমাণিত এবং শেষ দশকের ইতিকাফ তো আমাদের প্রিয় নবী, রাসূলে আরবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর অত্যন্ত পছন্দনীয় ছিলো, তিনি صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم শেষ দশকের ইতিকাফ খুবই আয়োজন সহকারে করতেন। এমনকি একবার কোনো কারণে রমযানুল মুবারকে ইতিকাফ করতে পারেননি, তখন তিনি صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم শাওয়াল মাসে ইতিকাফ করেন। (বুখারী, কিতাবুল ইতিকাফ, ৫৩৩ পৃষ্ঠা, হাদীস: ২০৪১)

ইতিকাফের ফযিলত

            * আল্লাহ পাকের সর্বশেষ নবী, হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: যে ব্যক্তি আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্য একদিনের ইতিকাফ করবে, আল্লাহ পাক তার ও জাহান্নামের মাঝখানে ৩টি খন্দক (পরিখা) অন্তরায় করে দিবেন, প্রত্যেকটি খন্দকের দূরত্ব পূর্ব ও পশ্চিমের দূরত্বের চেয়ে বেশি। (শুয়াবুল ঈমান, ৩/৪২৫, হাদীস: ৩৯৬৫) * উম্মুল মুমিনুন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا থেকে বর্ণিত: مَنْ اعْتَكَفَ اِيمَاناً وَ احْتِسَابًا غُفِرَ لَهٗ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهٖ অর্থাৎ যে ঈমান সহকারে এবং সাওয়াব অর্জনের উদ্দেশ্যে ইতিকাফ করলো, তার পূর্ববর্তী গুনাহ ক্ষমা করে দেয় হবে। (জামেয়ে সগীর, ৫১৬ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৮৪৮০) * এক হাদীসে পাকে ইরশাদ করেন: যে ব্যক্তি রমযান মুবারকে ১০ দিনের ইতিকাফ করলো, সে এমন যেনো ২টি হজ্জ এবং ২টি ওমরা করলো। (জামেয়ে সগীর, ৫১৬ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৮৪৭৯)

 

সম্মিলিত সুন্নাত ইতিকাফের প্রতি উৎসাহ

            প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! اَلْحَمْدُ لِلّٰه আশিকানে রাসূলের দ্বীনি সংগঠন সারা পৃথিবীতে নেকীর দাওয়াত প্রচারে নিয়োজিত, রমযানের ফয়যান পেতে, গুনাহ থেকে বিরত থাকতে এবং নেককার নামাযী হতে আশিকানে রাসূলের দ্বীনি সংগঠন দাওয়াতে ইসলামীর সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যান। اَلْحَمْدُ لِلّٰه দাওয়াতে ইসলামীর অধীনে পৃথিবীর হাজারো স্থানে সম্মিলিত ইতিকাফও করানো হয়ে থাকে, আপনারাও পুরো রমযান মাস বা কমপক্ষে শেষ দশকের সম্মিলিত ইতিকাফ করার নিয়্যত করে নিন! اِنْ