Book Name:Safar e Meraj Aur Pyari Namaz

হাজিরী দিবে, মাথা সিজদাবনত করবে এবং আল্লাহ পাকের সাথে কথা বলার মর্যাদা অর্জন করে নিবে। سُبْحٰنَ الله! এটাই হলো মুসলমানের মেরাজ...!

            হে আশিকানে রাসূল! একটু ভাবুন তো! দুনিয়াবী বাদশাহদের নিকট যেতে হলে হাজারো সিস্টেম মেইনটেন করতে হয় কিন্তু এটা কেমন করুণা, সমস্ত জগতের প্রতিপালক, রহমান ও রহীম আল্লাহর পবিত্র দরবারে হাজির হতে হলে কোন বাধা বিপত্তি নেই, উঠুন, অযু করুন এবং আপন প্রতিপালকের দরবারে হাজির হয়ে যান। এটা কতো মহান নেয়ামত, যা আমাদের মেরাজের সদকায় নসীব হয়েছে, এটি কতো মহান অনুগ্রহ, যা প্রিয় নবী, রাসূলে আরাবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সদকায় আমরা গুনাহগারদের প্রতি হয়েছে। سُبْحٰنَ الله!

 

নামায এবং মেরাজের স্মৃতি

            প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! নামায মেরাজের উপহারও, মুমিনের হকে মেরাজও আর এই প্রিয় ইবাদত অর্থাৎ নামাযে মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর মেরাজের স্মৃতিও রাখা হয়েছে। জী হ্যাঁ! ওলামায়ে কিরাম বলেন: মেরাজ রজনীতে আমাদের প্রিয় নবী, হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم যখন আল্লাহ পাকের দরবারে হাজির হন, তখন আরয করলেন: اَلتَّحِيَّاتُ لِلّٰهِ وَ الصَّلَوَاتُ وَ الطَّيِّبٰتُ (অর্থাৎ সমস্ত মৌখিক, শারীরিক ইবাদত আল্লাহ পাকেরই জন্য) আল্লাহ পাক উত্তরে ইরশাদ করলেন: اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ اَيُّهَا النَّبِىُّ وَ رَحْمَةُ اللهِ وَ بَرَكَاتُهٗ (হে নবী! আপনার উপর সালাম ও আল্লাহর রহমত ও বরকত) এতে প্রিয় নবী
صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم পুনরায় আরয করলেন: اَلسَّلَامُ عَلَيْنَا وَ عَلٰى عِبَادِ اللهِ الصّٰلِحِيْنَ (আমাদের প্রতি আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর সালাম)। (মিরাতুল মানাজিহ, ২/৮৮)

            যখন প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم মেরাজ থেকে ফিরে এলেন, তখন তিনি صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم উম্মতকে اَلتَّحِيَّات এর শিক্ষা দেন এবং তাতে এই বরকতময় বাক্যগুলো শিক্ষা দেন, যেনো রাসূলুল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন: হে লোকেরা! নামায তোমাদের মেরাজ, তো আমি মেরাজে আল্লাহ পাকের সাথে যে কথোপকথন করে এসেছি, তোমরাও নামাযে তাই করো। (মিরাতুল মানাজিহ, ২/৯০)

 

নামাযে প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর ধ্যান

            এই পর্যায়ে ইমাম গাযালী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ খুবই প্রেমময় কথা লিখেছেন, তিনি নামাযের আদব বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন: যখন নামাযরত ব্যক্তি اَلتَّحِيَّات এ পৌঁছাবে এবং এটি পড়বে: اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ اَيُّهَا النَّبِىُّ (অর্থাৎ হে নবী! আপনার উপর সালাম) তখনকার আদব হলো যে, নামাযী রাসূলে পাক
صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে নিজের অন্তরে হাজির মনে করবে এবং এরূপ ধ্যান করে এই বাক্যগুলো বলবে যে, আমি হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দরবারে সালাম আরয করছি এবং তিনি صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আমি গুনাহগারের প্রতি অনুগ্রহ করে সালামের উত্তর প্রদান করছেন। (মিরাতুল মানাজিহ, ২/৯২)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد