Book Name:Safar e Meraj Aur Pyari Namaz

ফিলিস্তিনের অন্তর্ভুক্ত, এটি অত্যন্ত বরকতময় মসজিদ, একে প্রথম কিবলাও বলা হয়। প্রিয় নবী, রাসূলে হাশেমী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم মদীনায় হিজরতের পর প্রায় ১৭ মাস পর্যন্ত মসজিদে আক্বসার দিকে মুখ করে নামায আদায় করেছেন।

            মেরাজের সফরের ব্যাপারে বর্ণনায় রয়েছে: যখন রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم বায়তুল মুকাদ্দাসে আগমন করেন, তখন তাঁর উচ্চ মহিমা প্রকাশার্থে এবং স্বাগত জানাতে সকল আম্বিয়ায়ে কিরাম عَلَیْهِمُ السَّلَام পূর্ব থেকেই সেখানে সমবেত হয়েছিলেন। তাঁরা সবাই প্রিয় নবী, রাসূলে আরবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে দেখে স্বাগত জানান, অতঃপর যখন নামাযের সময় হলো তখন হযরত জিব্রাইল عَلَیْہِ السَّلَام তাঁর হাত মুবারক ধরে সামনে এগিয়ে দিলেন এবং প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم সমস্ত আম্বিয়ায়ে কিরামের عَلَیْهِمُ السَّلَام ইমামতি করেন। (মুজামু আওসাত, ৩/৬৫, হাদীস: ৩৮৭৯)

            আল্লামা মাহমুদ আলুসী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ উদ্ধৃত করেন যে, প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আম্বিয়ায়ে কিরামদের عَلَیْهِمُ السَّلَام ২ রাকাত নামায পড়ান এবং এর প্রথম রাকাতে সূরা কাফিরুন তিলাওয়াত করেন এবং দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ইখলাস তিলাওয়াত করেন। নবীদের ৭টি কাতার ছিলো, তন্মধ্যে তিনটি কাতার ছিলো রাসূলদের।

(তাফসীরে রুহুল মাআনী, ১৫তম পারা, সূরা বনী ইসরাঈল, ১ নং আয়াতের পাদটিকা, ১৫তম অধ্যায়, ৮/১৭)

            سُبْحٰنَ الله! কী অপূর্ব নামায ছিলো আর কী চমৎকার দৃশ্য ছিলো যে, সকল আম্বিয়া ও রাসূল عَلَیْهِمُ السَّلَام মুক্তাদী।

            নিঃসন্দেহে বিশ্বজগতে এমন নামায কখনো হয়নি, কিরূপ অপূর্ব দৃশ্য ছিলো যে, আযান প্রদানকারী ফেরেশতাদের সর্দার হযরত জিব্রাইল عَلَیْہِ السَّلَام ছিলেন, নামায আদায়কারীর ছিলেন আম্বিয়ায়ে কিরাম عَلَیْهِمُ السَّلَام এবং নামায পড়িয়েছিলেন সৈয়্যদুল আম্বিয়া صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم, আকাশ এমন দৃশ্য কখনো দেখেনি।

 

(৫-১১) সাতটি নামাযের স্থান

            প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! মসজিদে আক্বসায় জামাআত সহকারে নামায আদায়ের পর আসমানী সফর শুরু হলো, প্রিয় নবী, মক্কী মাদানী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم বুরাকে আরোহন করেন এবং আসমানের দিকে অগ্রসর হন, প্রতিটি উচ্চতা অতিক্রম করে প্রথম আসমানে হযরত আদম عَلَیْہِ السَّلَام এর সাথে, দ্বিতীয় আসমানে হযরত ঈসা عَلَیْہِ السَّلَام এর সাথে, তৃতীয় আসমানে হযরত ইউসুফ عَلَیْہِ السَّلَام এর সাথে, চতুর্থ আসমানে হযরত ইদ্রিস عَلَیْہِ السَّلَام এর সাথে, পঞ্চম আসমানে হযরত হারুন عَلَیْہِ السَّلَام এর সাথে, ষষ্ঠ আসমানে হযরত মুসা عَلَیْہِ السَّلَام এর সাথে এবং সপ্তম আসমানে হযরত ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ عَلَیْہِ السَّلَام এর সাথে সাক্ষাৎ করে সিদরাতুল মুনতাহায় তাশরীফ নিয়ে যান। আল্লামা মাহমুদ আলুসী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: বর্ণনায় এসেছে যে, আসমান অতিক্রম করার সময় প্রিয় নবী, হুযুর পুরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم প্রত্যেক আসমানে ২ রাকাত নামায আদায় করেন এবং সেই আসমানের ফেরেশতারা তাঁর ইক্তিদা করেন।