Book Name:Safar e Meraj Aur Pyari Namaz

ইমামুল আম্বিয়া, মক্কী মাদানী মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর এই শান যে, মূসা কলিমুল্লাহ عَلَیْہِ السَّلَامও আল্লাহর দরবারে কিছু আরয করতে হলে তাঁর মাধ্যমে করেন।

            (৪) অতঃপর এটাও ভাবুন যে! মেরাজ রজনীতে প্রিয় আক্বা, মক্কী মাদানী মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ১০ বার আল্লাহ পাকের দরবারে উপস্থিত হন, একবার তো প্রথমে উপস্থিত হন, তারপর হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام এর অনুরোধে ৯ বার উপস্থিতির সৌভাগ্য লাভ করেন। سُبْحٰنَ الله!

            (৫) প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام বারবার প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দরবারে নামায কমানোর অনুরোধ করতে থাকেন, এতে একটি অত্যন্ত সুন্দর ও প্রেমময় পয়েন্ট ওলামায়ে কিরাম লিখেছেন, বলেন: হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام তুর পাহাড়ে আল্লাহ পাককে দীদারের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন কিন্তু সেই ইচ্ছা পূরণ হয়নি, আজ যখন রাসূলে আকরাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর এই সৌভাগ্য নসীব হলো, তখন  হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام চাচ্ছিলেন যে, তিনি صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم যেনো বারবার আল্লাহ পাককে দেখে আসতে থাকেন এবং আমি বারবার তাঁর দীদার করতে থাকিহযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام এর জন্য প্রিয় নবীর চেহারা আল্লাহর সৌন্দর্যের যেনো আয়না স্বরূপ ছিলো, তাঁর তুর পাহাড়ের ইচ্ছা আজ পূরণ হচ্ছে। (মিরাতুল মানাজিহ, ৮/১৪৬)

 

নামায মুমিনের মেরাজ

            হে আশিকানে রাসূল! নামায কেমন ইবাদত যে, আমাদের প্রিয় নবী, রাসূলে হাশেমী, মুহাম্মদ আরাবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم মেরাজ রজনীতেও ৬টি ভিন্ন ভিন্ন স্থানে নামায আদায় করেছিলেন, মসজিদে আক্বসায়ও নামায আদায় করেন, শুধু আদায় করেননি বরং তাঁর ইক্তিদায় আম্বিয়া ও রাসূলগণ এবং ফেরেশতারাও নামায আদায় করেছেন, প্রত্যেক আসমানে গিয়ে ২ রাকাত করে নামায আদায় করেছেন এবং ফেরেশতাদের ইমামতি করেছেন। আর যখন আল্লাহর দরবারে গমন করেন, তখন নামাযের প্রধান রূকন সিজদা আদায় করেন, আল্লাহ পাকের সাথে সাক্ষাতের পর যখন নিজের উম্মতের দিকে ফিরে আসছিলেন তখন জগতের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ পাকও আপন মাহবুবের উম্মতের জন্য যে উপহার প্রদান করেছিলেন তাও ছিলো নামায। মেরাজ রজনীতে শুধু নামায আর নামায, যাওয়ার সময় নামায পড়েছেন এবং আসার সময় স্বীয় উম্মতের জন্য নামায নিয়ে এসেছেন। অর্থাৎ নিজেও মেরাজ করেছেন এবং নিজের গোলামদের জন্যও মেরাজের ব্যবস্থা করে নিয়ে এসেছেন। জী হ্যাঁ! নামায মুমিনের মেরাজ। মিরকাতুল মাফাতীহ কিতাবে রয়েছে: اَلصَّلَاةُ مِعْرَاجُ الْمُؤْمِن অর্থাৎ নামায হলো মুমিনের মেরাজ। (মিরকাতুল মাফাতীহ, কিতাবুল সালাত, ৪২১ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৭৪৬)

            سُبْحٰنَ الله! এটি কেমন চমৎকার করুণা...! আমরা নামাযের উপহার পেয়েছি আর নামায হলো মুমিনের মেরাজ। এখন কিয়ামত পর্যন্ত আগত মুসলমানদের এই করুণা করা হলো যে, জীবনে একবার নয়, বছরে নয়, মাসে নয় বরং প্রতিদিন পাঁচবার বান্দা অযু করবে, মসজিদে উপস্থিত হবে, মনযোগ সহকারে বিনয় ও নম্রতার সহিত, একাগ্রতাচিত্তে নামায পড়বে, আপন প্রিয় আল্লাহ পাকের দরবারে