Book Name:Safar e Meraj Aur Pyari Namaz

কিতাব থেকে মসজিদ দরস এবং ৭ মিনিট চৌক দরস দিন, এতে মানুষের অন্তরে পাঞ্জেগানা নামাযের গুরুত্ব ও ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে এবং নামাযের আগ্রহ সৃষ্টি হবে। শায়েখ তরীকত, আমীরে আহলে সুন্নাত হযরত আল্লামা মাওলানা আবু বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবী دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ এর অনন্য কিতাব: নামাযের আহকাম। এই কিতাবে অযুর পদ্ধতি, গোসলের পদ্ধতি, নামাযের পদ্ধতি, মুসাফিরের নামায, কাযা নামাযের পদ্ধতি এবং জানাযার নামাযের পদ্ধতি লিপিবদ্ধ রয়েছে, এ সমস্ত তথ্য অর্জন করতে নামাযের আহকাম ক্রয় করে অধ্যয়ন করুন।

অপরকে নামাযের দাওয়াত দিন!

            প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমরা নিজেরা তো اِنْ شَآءَ الله নামায পড়বোই, এর পাশাপাশি নিজের পরিবারকে, বন্ধু-বান্ধবকে, প্রতিবেশী, মহল্লাবাসীকে, অফিসে, দোকানে একত্রে কর্মরতদেরকেও নামাযের দাওয়াত দিয়ে নামাযী বানানোর চেষ্টা করবো। পবিত্র হাদীসে রয়েছে: হযরত আবু সাঈদ খুদরি رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: তোমাদের মধ্যে কেউ যখন কোনো মন্দ দেখবে, তখন তার উচিৎ যে, সেই মন্দকাজ নিজের হাত দ্বারা প্রতিহত করা আর যে নিজের হাত দ্বারা প্রতিহত করার ক্ষমতা রাখে না, তবে তার উচিৎ যে, নিজের জিহ্বা দ্বারা প্রতিহত করা আর যে নিজের জিহ্বা দ্বারা প্রতিহত করার সামর্থ রাখে না তবে তার উচিৎ যে, নিজের অন্তরে মন্দ জানা আর এটি হলো দুর্বল ঈমানের লক্ষণ। (সুনানে নাসায়ী, কিতাবুল ঈমান, ৮০২ পৃষ্ঠা, হাদীস:  ৫০১৮)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

২৭ রজবের রোযা রাখার উৎসাহ

            প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! রোযা শারীরিক স্বাস্থ্যেরও গ্যারান্টার এবং রূহানী স্বাস্থ্যেরও গ্যারান্টার। اَلْحَمْدُ لِلّٰه রজবুল মুরাজ্জবের মুবারক মাস তার বরকত ছড়াচ্ছে, যেনো নফল রোযার বসন্ত চলছে, আমাদের উচিৎ যে, এই বরকতময় দিনের সদ্ব্যবহার করে অধিক পরিমাণে রোযা রাখা, নেকীও অর্জন করা এবং রোযা রাখার ফযিলতের হকদার হওয়া। আসুন! অনুপ্রেরণার জন্য ২৭ রজবুল মুরাজ্জবের রোযা রাখার ফযিলত শুনি: হযরত আবু হুরায়রা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: যে ব্যক্তি ২৭ রজবের রোযা রাখবে, আল্লাহ পাক তার জন্য ষাট মাসের রোযার সাওয়াব লিখবেন। (ফয়যানে রমযান, ৩৪৫ পৃষ্ঠা হযরত সালমান ফারেসী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত, আল্লাহর সর্বশেষ নবী, মক্কী মাদানী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: রজবে একটি দিন ও রাত রয়েছে, যে সেই দিনে রোজা রাখবে এবং রাতে কিয়াম (ইবাদত) করবে, তবে যেনো সে একশত বছর রোযা রাখলো আর তা হলো রজবের সাতাশ তারিখ। (শুয়াবুল ঈমান, ৩/৩৭৪, হাদীস: ৩৮১১)

            প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! اَلْحَمْدُ لِلّٰه আশিকানে রাসূলের দ্বীনি সংগঠন দাওয়াতে ইসলামীর দ্বীনি পরিবেশে শাবানেও রোযার বসন্ত হয়ে থাকে, বিভিন্ন স্থানে সেহেরী ইজতিমারও আয়োজন করা হয়, مَاشَآءَالله অসংখ্য আশিকানে রাসূল অধিকহারে রোযা রাখেন এবং ধারাবাহিক রোযা রেখে রমযানুল মুবারকের সাথে মিলিত হয়ে যায়। আপনিও দাওয়াতে ইসলামীর দ্বীনি পরিবেশের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে