Book Name:Asmani Kitabon Mein Naat e Mustafa
হযরত সায়্যিদুনা ইবনে আব্বাস رَضِیَ اللهُ عَنْہُمَا থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী, মক্কী মাদানী মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: এ দোয়া পাঠকারীর জন্য সত্তরজন ফিরিশতা এক হাজার দিন পর্যন্ত নেকী সমূহ লিখতে থাকেন। (মু’জামুয যাওয়ায়িদ, কিতাবুল আদইয়াহ, ১০/২৫৪, হাদীস ১৭৩০৫)
প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: যে ব্যক্তি এ দোয়া তিনবার পড়ে নিবে, সে যেন শবে কদর পেয়ে গেলো।
(তারীখে ইবনে আসাকীর, ১৯/৪৪১৫)
لَا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ الْحَلِيْمُ الْكَرِيْمُ سُبْحَانَ اللهِ رَبِّ السَّمٰوٰتِ السَّبْعِ وَرَبِّ الْعَرْشِ الْعَظِيْم
সহনশীল দয়ালু আল্লাহ পাক ব্যতিত ইবাদতের উপযোগী কেউ নেই। আল্লাহ পাক পবিত্র, যিনি সপ্ত আসমান ও আরশে আযীমের মালিক ও প্রতিপালক।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
সাপ্তাহিক ইজতিমার হালকার সিডিউল ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং
(১) সুন্নাত ও আদব শিখা: ৫ মিনিট (২) দোয়া মুখস্ত করানো ৫ মিনিট, (৩) যাচাই: ৫ মিনিট, সর্বমোট ১৫ মিনিট
হাত মিলানোর অবশিষ্ট সুন্নাত ও আদব
* পরস্পর হাত মিলানোর দ্বারা শত্রুতা দূরীভূত হয়ে থাকে। * যতবার সাক্ষাত হবে ততবার হাত মিলাতে পারবে। * উভয় পক্ষ থেকে একহাত করে মিলানো সুন্নাত নয় মুসাফাহা দুই হাতে করা সুন্নাত। * কিছুলোক শুধুমাত্র পরস্পরের আঙ্গুলই লাগিয়ে থাকে এটাও সুন্নাত নয় * হাত মিলানোর পর নিজের হাত চুম্বন করা মাকরুহ। * হাত মিলানোর পর নিজের হাত চুম্বনকারী ইসলামী ভাইয়েরা নিজেদের অভ্যাস পরিহার করুন। * যদি আমরদ (অর্থাৎ সুদর্শন বালক) এর সাথে হাত মিলানোর মধ্যে কামভাব সৃষ্টি হয় তাহলে তার সাথে হাত মিলানো জায়িয নেই বরং যদি দেখার কারণে কামভাব সৃষ্টি হয় তবে দেখাও গুনাহ। (দুররে মুখতার, ২/৯৮ পৃ:) * মুসাহাফা করার (অর্থাৎ হাত মিলানোর) সময় সুন্নাত হলো এটা যে, হাতে রুমাল ইত্যাদি যেনো অন্তরাল না হয়, উভয়ের হাতের তালু যেনো খালি থাকে এবং হাতের তালুর সাথে তালু লাগা উচিত। (বাহারে শরীয়ত, অংশ: ৩, ১৬/৪৭১ পৃ:)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
দাওয়াতে ইসলামীর সাপ্তাহিক সুন্নাতে ভরা ইজতিমার সিডিউল অনুযায়ী “ঋণ মুক্তির দোয়া” মুখস্ত করানো হবে। দোয়াটি হলো:
اَللّٰھُمَّ اکْفِنِیْ بِحَلَالِکَ عَنْ حَرَامِکَ وَاَغْنِنِیْ بِفَضْلِکَ عَمَّنْ سِوَاکَ
অনুবাদ: “হে আল্লাহ আমাকে হালাল রিযিক দান করো হারাম থেকে হেফাযত করো এবং তোমার দয়া ও অনুগ্রহে তুমি ব্যতীত অন্যদের প্রতি অমুখাপেক্ষী বানিয়ে দাও।”