Asmani Kitabon Mein Naat e Mustafa

Book Name:Asmani Kitabon Mein Naat e Mustafa

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

ঈমান থেকে বাধা প্রদানকারী অভ্যন্তরীণ রোগ

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এখানে আনুষঙ্গিকভাবে একটি বিষয় বুঝা যাচ্ছে যে, হতে পারে মাথায় এই প্রশ্ন আসছে যেহেতু পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবের মধ্যে রাসূলে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর বিস্তারিত আলোচনা বিদ্যমান ছিলো তো আহলে কিতাবগণ তাঁকে দেখা মাত্রই ঈমান আনে নাই কেন? যেহেতু রাসূলে আকরাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم সম্পর্কে জানতো এবং চিনতও, তাদের জানা ছিলো যে, নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم হলেন আখেরী নবী তো তাদের উচিত ছিলো যে, দেখা মাত্রই কালিমা পাঠ করে নেয়া, কিন্তু তারা ঈমান গ্রহণ করলো না কেন? সেটার উত্তর আল্লাহ পাক কুরআনে করীমে দিয়েছেন, ইরশাদ হচ্ছে:

بَغْیًا اَنْ یُّنَزِّلَ اللّٰہُ مِنْ فَضْلِہٖ عَلٰی مَنْ یَّشَآءُ مِنْ عِبَادِہٖ

(পারা: ১, সূরা বাকারা, আয়াত: ৯০)                  কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: এ হিংসায় যে, আল্লাহ আপন অনুগ্রহে স্বীয় যে বান্দার উপর ইচ্ছা করেন ওহীনাযিল করেন।

 

          তাফসীরে নুরুল ইরফানে এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন: বনী ইসরাইলের হিংসা হলো যে, আখেরী নবী হওয়ার মর্যাদা রাসূলে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কেন পেলেন, বনী ইসরাইলদের মধ্য হতে কারো পাওয়ার উচিত ছিলো, এজন্য তারা রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর উপর ঈমান আনয়ন করেনি। বোঝা গেলো হিংসা কখনো কখনো ঈমান থেকেও বাধা প্রদান করে। (তাফসীরে নুরুল ইরফান, পারা ১, সূরা বাকারা, আয়াতের পাদটীকা: ৯০ সামান্য পরিবর্তন সহকারে)

 

অসুস্থ রোগী কালিমা পাঠ করে মুসলমান হয়ে গেলো

          মুসনদে ইমাম আহমদে রয়েছে: একবার প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এক অমুসলিমের পাশ দিয়ে অতিত্রুম করলেন, তার ছেলে অসুস্থ ছিলো আর সে তার শিয়রে বসে তাওরাত পাঠ করছিলো, নবী করীম, রউফুর রহীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم বললেন: তোমাকে সেই সত্য খোদার শপথ দিচ্ছি যিনি মূসা عَلَیْہِ السَّلَام এর উপর তাওরাত অবতীর্ণ করেছেন! তাওরাতের মধ্যে কি আমার প্রশংসা ও বৈশিষ্ট্য বর্ণিত রয়েছে, সে তৎক্ষণাৎ অস্বীকার করে দিলো কিন্তু তার ছেলে যে অসুস্থ ছিলো, তার ভাগ্যের তারা চমকে উঠেছিলো, সে তৎক্ষণাৎ (তার পিতার মিথ্যা কথার ব্যাখ্যা করতে গিয়ে) বললো: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি তাওরাতে আপনার প্রশংসা, আপনার বৈশিষ্ট্য এবং আপনার তাশরিফ আনার যুগের কথা উল্লেখ রয়েছে। এটাই বলতেই সেই (বাচ্চাটি) কালিমা পাঠ করে মুসলমান হয়ে গেলো।

(মুসনদে ইমাম আহমদ, ৯/৫৫১ পৃ:, হাদীস: ২৪১৩৫)