Book Name:Faizan e Imam Azam
নষ্ট করেছি, যার হিসাব কিয়ামতের দিন আমাদের দিতে হবে। তাই হাশরের অপমান ও অপদস্ততা থেকে বাঁচতে বান্দাদের যে হক সমূহ আমাদের উপর আসবে, তা আদায়ে দেরি না করা আর অতীতে যাদের হক নষ্ট করেছেন, তাদের থেকেও দ্রুত ক্ষমা চেয়ে নিন এবং ভবিষ্যতে এই বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করুন। এই ব্যাপারে বিশেষ করে নিজের মুখকে আয়ত্বে রাখা অতীব জরুরী। কেননা মুখই এমন একটা জিনিস, যা অনেক বেশি গুনাহ করিয়ে থাকে, এই মুখই কাউকে কড়া বাক্য বলায়, বা কারো গীবতে লিপ্ত করিয়ে কিয়ামতে আমাদের অপদস্ত করাতে পারে। এই কারণেই হযরত ইমামে আযম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ নিজের মুখের নিরাপত্তার বিধান করতেন এবং খুবই কম কথাবার্তা বলতেন। হযরত শারিক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: হযরত ইমামে আযম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ অধিকাংশ সময় নিশ্চুপ থাকতেন, খুবই বুদ্ধিমান ও অনেক বড় ফকীহ হওয়ার পরও মানুষের সাথে তর্ক বিতর্ক করা থেকে বিরত থাকতেন। (আল খায়রাতুল হিসান, ৫৬ পৃষ্ঠা) হযরত ইবনে মোবারক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আমি একবার হযরত সুফিয়ান ছওরী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ’র দরবারে আরয করলাম: ইমামে আযম আবু হানীফা رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ গীবত থেকে এতই দূরে থাকতেন যে, আমি কখনো তাঁকে শত্রুর গীবত করতেও শুনিনি। তখন তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বললেন: “আল্লাহর শপথ! তিনি এই ব্যাপারে অনেক সাবধানতা অবলম্বনকারী ছিলেন যে, এমন কোন জিনিসকে নিজের নেকীর উপর চাপিয়ে দেয়া যা সেগুলোকে (অন্যের আমলনামায়) স্থানান্তর করে দেয়।
(আখবারু আবি হানীফা ওয়া আসহাবিহি, ৪২ পৃষ্ঠা)
হযরত দ্বুমায়রা رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: এই বিষয়ে লোকেদের কোন মতানৈক্য নেই যে, ইমামে আযম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ সত্যবাদী ছিলেন, কখনো কারো আলোচনায় মন্দ দিক বর্ণনা করেননি।