Book Name:Faizan e Imam Azam
হযরত উনাইসা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا বলেন: আমাকে আমার আব্বাজান বলেছেন: আমি অসুস্থ হলে প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আমার শশ্রুষার জন্য তাশরীফ নিয়ে আসেন এবং দেখে ইরশাদ করলেন: এই রোগে তোমার কোন ক্ষতি হবেনা, কিন্তু ঐ সময় তোমার কি অবস্থা হবে, যখন তুমি আমার ইন্তেকালের পর দীর্ঘ জীবন অতিবাহিত করে দৃষ্টিশক্তি হারাবে? একথা শুনে আমি আরয করলাম: ইয়া রাসূলাল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আমি তখন সাওয়াব অর্জনের উদ্দেশ্যে ধৈর্যধারণ করবো। ইরশাদ করলেন: যদি তুমি এরূপ করো তবে বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। সুতরাং নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ’র জাহেরী হায়াত থেকে পর্দার পর তাঁর দৃষ্টিশক্তি কমতে শুরু করলো, অতঃপর একটি সময় অতিবাহিত হওয়ার পর আল্লাহ পাক তাঁর দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিলেন এবং তাঁর ইন্তেকাল হয়ে গেলো।
(দালায়িলুন নবুয়ত লিল বায়হাকী, ৬/ ৪৭৯ পৃষ্ঠা)
অদৃশ্যের জ্ঞান সত্তাগত ও প্রদানকৃত এর মধ্যে পার্থক্য!
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এই বর্ণনাটি শুনে হতে পারে, শয়তান কারো মনে এই কুমন্ত্রণা দিবে যে, অদৃশ্যের জ্ঞান তো শুধুমাত্র আল্লাহ পাকেরই রয়েছে, তবে হুযুর নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কিভাবে অদৃশ্যের সংবাদ দিলেন? আরয হলো: এতে কোন সন্দেহ নেই যে, আল্লাহ পাকই হচ্ছেন عَالِمُ الْغَیْبِ وَالشَّہادَۃ, তাঁর অদৃশ্যের জ্ঞান হলো সত্তাগত এবং সর্বদাই ছিলো ও থাকবে, আর আম্বিয়ায়ে কেরাম عَلَیْہِمُ الصَّلٰوۃُ وَ السَّلَام ও আউলিয়ায়ে কেরামগণের رَحِمَہُمُ اللهُ السَّلَام অদৃশ্যের জ্ঞান হলো প্রদানকৃতও কিন্তু সর্বদাও ছিলোনা। তাঁদেরকে যখন থেকে আল্লাহ পাক জানিয়েছেন, তখন থেকেই জানেন আর যতোটুকু জানিয়েছেন ততোটুকুই জানেন, তাঁর