Faizan e Imam Azam

Book Name:Faizan e Imam Azam

থেকে এরূপ পানি ঝরতে দেখে তাকে বললেন: মদ গান-বাজনা শোনা থেকে তাওবা করে নাও লোকটি বললো: আমি তাওবা করলাম অন্তর্দৃষ্টির মাধ্যমে ইমামে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ যেহেতু লোকদের গুনাহ দোষ-ত্রুটি দেখতেন, তাই তিনি আল্লাহ পাকের দরবারে এই অন্তর্দৃষ্টি বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য প্রার্থনা করেন আল্লাহ পাক তাঁর প্রার্থনা কবুল করে নিলেন সেই থেকে হযরত আবু হানীফা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ ওযুকারীদের গুনাহ ঝরতে দেখা বন্ধ হয়ে যায় (আল মিযানুল কুবরা, /১৩০নেকীর দাওয়াত, ৩২৪ পৃষ্ঠা)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                     صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

    প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা শুনলেন তো! কোটি কোটি হানাফীদের ইমাম হযরত ইমাম আবু হানীফা رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বেলায়তের চক্ষু দ্বারা লোকদের ওযু করার মাধ্যমে ঝরে যাওয়া গুনাহগুলো অর্থাৎ নাফরমানিগুলো দেখতে পেতেন নিঃসন্দেহে এটি ছিলো তাঁর মহান কারামতই তা সত্ত্বেও তিনি সাধারণ লোকদের দোষ-ত্রুটি সম্পর্কে জানতে পারাটা পছন্দ করলেন না তখন তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ গুণটি শেষ হয়ে যাওয়ার দোয়া করলেন, তখন আল্লাহ পাক তাঁর দোয়া কবুল করে নিলেন

    থেকে সেসব লোকেরা শিক্ষা গ্রহণ করুন, যারা অন্তরে ইমামে আযম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ভালোবাসার দাবী করেন অথচ জোর-পূর্বক উল্টা পাল্টা প্রশ্ন (CROSS QUESTIONS) করে লোকজনের দোষ-ত্রুটি খোঁজার মধ্যে লেগে থাকেনমনে রাখবেন! শরয়ী কোন কারণ ছাড়া ইচ্ছাকৃত ভাবে কারো দোষ-ত্রুটি বের করা গুনাহ, হারাম জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার মত কাজ যেমনিভাবে ২৬ পারার সূরাতুল হুজরাতের ১২ নং আয়াতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে: وَّ لَا تَجَسَّسُوْا কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ : আর তোমরা দোষ-ত্রুটি তালাশ করো না