Faizan e Imam Azam

Book Name:Faizan e Imam Azam

একবার তাঁকে বলা হলো: লোকেরা তো আপনার সম্পর্কে মন্দ কথা বলে, কিন্তু আপনি কাউকে কিছুই বলেন না? তখন তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বললেন: (মানুষের মন্দ কথায় আমার ধৈর্যধারণ করা) এটা আল্লাহ পাকের দয়া, তিনি যাকে চান তা তাকে দান করেন

    হযরত বুকাইর বিন মারূফ رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আমি প্রিয় নবী, হুযুর পুরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم উম্মতের মধ্যে হযরত ইমামে আযম আবু হানীফা رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ চেয়ে বেশি উত্তম চরিত্রের অধিকারী আর কাউকে দেখিনি (আল খায়রাতুল হিসান, ৫৬ পৃষ্ঠা)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                     صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

অতিরিক্ত কথাবার্তার ধ্বংসলীলা!

    প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা শুনলেন তো! ইমামে আযম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ মুখের আপদ থেকে বাঁচার জন্য অধিকাংশ সময় নিরবতা অবলম্বন করতেন এবং অপ্রয়োজনীয় কথা বলা থেকে বিরত থাকতেন। নিশ্চয় অতিরিক্ত কথা বলা ও না বুঝে কথা বলা সীমাহীন ভয়ানক পরিণামের কারণ এবং আল্লাহ পাকের সর্বদার অসন্তুষ্টতার কারণ হতে পারে। অবশ্যই মুখে কুফ্‌লে মদীনা লাগানো অর্থাৎ নিজে নিজেকে অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা থেকে বাঁচিয়ে রাখার মধ্যে নিরাপত্তা রয়েছে। চুপ থাকার অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য কিছু না কিছু কথাবার্তা লিখে অথবা ইশারায় বলা অত্যন্ত উপকারী। কেননা যে অতিরিক্ত কথা বলে সাধারণত সে ভুলও বেশি করে থাকে , গোপন কথাও প্রকাশ করে দেয়। গীবত ও চুগলখোরী এবং দোষ ত্রুটি তালাশের মতো গুনাহ থেকে বেঁচে থাকাও এরকম লোকদের জন্য কঠিন হয়ে থাকে বরং বক বক করার অভ্যস্ত ব্যক্তি অনেক সময় مَعَاذَ الله কুফরি বাক্যও বলে দেয়। দয়াময় আল্লাহ পাক আমাদের উপর দয়া করুন ও আমাদেরকেও মুখের কুফ্‌লে মদীনা নসীব করুন। আজকাল তো ভালো সাহচর্য পাওয়াও বিরল। অনেক ভালো নজর” এ আসা