Book Name:Faizan e Imam Azam
লোকদেরকেও দূর্ভাগ্যত্রুমে ভালো কথা বলার পরিবর্তে অহেতুক কথা শুনানোর মধ্যে মশগুল থাকতে দেখা যায়। হায়! যদি আমরা শুধুমাত্র আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্য লোকদের সাথে সাক্ষাত করতাম ও আমাদের সাক্ষাত করাটা শুধুমাত্র প্রয়োজনের সীমা পর্যন্ত হতো।
নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: মানুষের (জন্য) ইসলামের উত্তম বিষয়াবলীর মধ্য হতে এটি (একটি) হলো; অহেতুক বিষয়াদি বর্জন করা। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, ২/৪০৩ পৃষ্ঠা) সদরুস শরীয়া মুফতি মুহাম্মদ আমজাদ আলী আযমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এই হাদীসে পাক বর্ণনা করার পর বলেন: যে বিষয় উপকার দেয় না, সেটার পিছনে পড়িও না, মুখ ও অন্তর এবং অঙ্গকে অনর্থক বিষয়াদির প্রতি মনোযোগী করিওনা।
(বাহারে শরীয়াত, ৩/৫২০)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
ইমামে আযম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ’র অন্তর্দৃষ্টি!
শায়খে তরীকত, আমীরে আহলে সুন্নাত دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ ’র বিশ্ব বিখ্যাত সংকলন “নেকির দাওয়াত” এর ৩২৪ পৃষ্ঠায় রয়েছে: হযরত আল্লামা আব্দুল ওয়াহ্হাব শারানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: একদা ইমাম আযম আবু হানীফা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কূফার জামে মসজিদের ওযুখানায় তাশরীফ নিয়ে যান। তিনি সেখানে এক যুবককে ওযু করতে দেখলেন। ওযুকারী লোকটির শরীর হতে তখন (ওযুর মধ্যে ব্যবহৃত) পানি ঝরছিল। হযরত আবু হানীফা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বললেন: “হে বৎস! মা-বাবার অবাধ্যতা থেকে তাওবা করে নাও”। ব্যক্তিটি তৎক্ষণাৎ বললো: “আমি তাওবা করলাম।” অন্য আরেক ব্যক্তির ওযুর ব্যবহৃত পানির ফোঁটা ঝরতে দেখে লোকটিকে বললেন: “হে ভাই! তুমি ব্যভিচার থেকে তাওবা করে নাও।” সে বললো: “আমি তাওবা করলাম”। তৃতীয় আরেক ব্যক্তির শরীর