Book Name:Faizan e Imam Azam
১. “যে (ব্যক্তি) মুমিনের দোষ ত্রুটি গোপন করলো মূলত সে জীবিত দাফন করা বাচ্চাকে (পূনরায়) জীবিত করে দিলো।”
(মুজামুল আওসাত, ৮১৩৩, ৬/৯৭ পৃষ্ঠা)
২. “যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের দুঃখ-দুর্দশা দূর করে দেয়, আল্লাহ পাক কিয়ামতের দিনের দুঃখ-দুর্দশাগুলো হতে তার দুঃখ-দুর্দশা দূর করে দিবেন, আর যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখে, আল্লাহ পাক কিয়ামতের দিন তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন।”
(মুসলিম, হাদীস: ৬৫৮০, ১৩৯৪ পৃষ্ঠা)
৩. “যে ব্যক্তি নিজ ভাইয়ের দোষ-ত্রুটি দেখে তা গোপন করে ফেলে, তাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হবে।”
(মুসনাদে আবদ বিন হুমাইদ, ২৭৯ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৮৮৫। নেকীর দা’ওয়াত, ৩৯৬)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
পরিস্কার পরিছন্নতা অবলম্বন করুন!
হযরত কায়েস বিন রবীঈ رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: হযরত ইমামে আযম আবু হানীফা رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ তাঁর উপার্জন দ্বারা ব্যবসায়িক পণ্য জমা করতেন, অতঃপর তা দ্বারা কাপড় কিনে মাশায়িক, মুহাদ্দিস ও অভাবীদেরকে দিতেন আর (অভাবীদের) বলতেন: “আল্লাহ পাকের সানা ও প্রশংসা করো যে, তিনিই তোমাদের এটি দান করেছেন। আল্লাহর শপথ! আমি নিজের সম্পদ থেকে কিছুই দিইনি।” তাঁর খেদমতে কোন ব্যক্তি উপস্থিত হলে, তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতেন, যদি সে অভাবী হতো তবে তাকে কিছু না কিছু দান করতেন। সুতরাং এক ব্যক্তি তাঁর দরবারে উপস্থিত হলো, তার পোশাক ছিলো ময়লাযুক্ত, যখন লোকেরা চলে গেলো তখন তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ তাকে বসার আদেশ দিলেন, যখন সে একা রয়ে গেলো তখন বললেন: “এই জায়নামাযটি উঠাও আর এর নিচে যা আছে তা নিয়ে নাও।” সে জায়নামায উঠালো, দেখলো