Book Name:Faizan e Imam Azam
পারস্যবাসীর মধ্যে কোন ব্যক্তিই জ্ঞানে তার সমমর্যাদায় পৌঁছাতে পারেনি, বরং তাঁর শাগরিদগণের (জ্ঞানের) মর্যাদা পর্যন্তও পৌঁছাতে পারেনি এবং এতে হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ’র প্রকাশ্য মুজিযা হলো যে, হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم অদৃশ্যের সংবাদ দিয়েছেন, যা ভবিষ্যতে হওয়ার (ছিলো তা) জানিয়ে দিয়েছেন। (আল খাইরাতুল হিসান, ২৪ পৃষ্ঠা)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এই বিষয়টি اَظْہَرُ مِنَ الشَّمْسِ وَ اَبْیَنُ مِنَ الْاَمْس (অর্থাৎ সূর্যের চেয়েও উজ্জল ও গতকালের চেয়েও বেশি বিশ্বাসযোগ্য) হয়ে গেলো: আমাদের প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ’আল্লাহ পাকের দানক্রমে অদৃশ্যের জ্ঞান লাভ করেন, তাইতো হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم হযরত ইমামে আযম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ’র আগমনের পূর্বেই তাঁর অসাধারণ জ্ঞান দক্ষতার সংবাদ প্রদান করলেন। এখন যেমনটি হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন: তেমনটিই হলো। ইমামে আযম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এই দুনিয়ায় আগমন করলেন এবং চারিদিকে তাঁর জ্ঞানের প্রসিদ্ধির সুনাম ছড়িয়ে পড়লো। চারিদিকে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে পড়লো। তাঁর নাম ছিলো “নুমান” এটার শাব্দিক অর্থ পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ আসলেই তাঁর নামের মতোই। সুতরাং শায়খুল ইসলাম শাহাবুদ্দিন ইমাম ইবনে হাজর হায়তামী মক্কী শাফেয়ী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: ওলামাগণ এই বিষয়ে একমত, তাঁর নামই হচ্ছে “নুমান”। তাঁর নামে একটি সুন্দর বিষয় বিদ্যমান। আর তা হলো: নুমানের মূল হলো এমন রক্ত, যা দ্বারা মানুষের শরীরের (কাঠামো) প্রতিষ্ঠিত হয়। আর (অনুরূপভাবে) ইমামে আযম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কে নুমান বলার কারণ হলো: তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ইসলামী ফিকাহের ভিত্তি রেখেছেন।
(আল খাইরাতুল হিসান, ৩১ পৃষ্ঠা)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد