Book Name:Jisme Pak Ke Mojizat
প্রেরণ করেন। তিনি সেখানে গিয়ে নেকীর দাওয়াতের খুব প্রসার ঘটালেন। বহু লোক তাঁর হাতে ইসলাম কবুল করলো। (ত্ববকাতুল কুবরা, খণ্ড- ৩, পৃষ্ঠা- ৮৭)
সেই সময়কার একটি ঘটনা। একদিন হযরত মুসআব বিন উমাইর رَضِیَ اللهُ عَنْہُ মদীনা মুনাওয়ারার এক জায়গায় বসে দ্বীনী দরস দিচ্ছিলেন, অন্যান্য সাহাবায়ে কিরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان বসে তা শুনছিলেন। শ্রোতাদের মধ্যে হযরত আবু আব্দুর রহমান رَضِیَ اللهُ عَنْہُ ও উপস্থিত ছিলেন। দরস চলাকালে যখনই রাসূলে করীম, রঊফুর রহীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ‘র আলোচনা আসতো হযরত আবু আব্দুর রহমান رَضِیَ اللهُ عَنْہُ’র চোখে মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ‘র দিদার প্রাপ্তির তীব্র আকাঙ্ক্ষা ফুটে উঠতো এবং তাঁর হৃদয় দিদারে মুস্তাফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم লাভের প্রবল আগ্রহে ব্যাকুল হয়ে উঠতো।
অবশেষে তিনি অস্থির হয়ে বললেন, রাসূলে আকরাম, নূরে মুজাসসাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم -কে দেখার জন্য হৃদয় ব্যাকুল হয়ে আছে। আহ্! কবে বছর শেষ হবে? কবে হজ্জের মৌসুম আসবে? আর কবে আমরা মক্কা মুকাররমায় হাজির হয়ে মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم’র দিদার লাভ করে চোখ শীতল করবো? তাঁর এই কথা শুনে হযরত মুসআব বিন উমাইর رَضِیَ اللهُ عَنْہُ মুচকি হেসে বললেন: হে আবু আব্দুর রহমান, ধৈর্য ধরুন, এই দিন শীঘ্রই চলে যাবে।
হযরত ইবনে মাসলামা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কাছেই বসা ছিলেন। তিনি বলা শুরু করলেন: হ্যাঁ, মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم’র দিদার ব্যতীত অন্তরে কোনো শান্তি অনুভূত হয় না। এই দিনগুলো কবে শেষ হবে?
اَللهُ اَكْبَرُ সাহাবায়ে কিরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان ‘র ন্যায় মহান আশিকানে রাসূল! কতো প্রবল আকাঙ্ক্ষাই না তাঁদের দীদারে মুস্তফার জন্য !
হযরত ইবনে মাসলামা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কিছুক্ষণ নীরব রইলেন। তারপর বললেন: হে মুসআব বিন উমাইর رَضِیَ اللهُ عَنْہُ। একটা কাজ করুন। আপনি হুযূর পুরনূর, শাফীয়ে ইয়াউমুন নুশূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ‘র আপাদমস্তক সৌন্দর্যের আলোচনা করুন, তাঁর হুলিয়া (বাহ্যিক রূপ) মুবারক সম্পর্কে বর্ণনা করুন।