سُبْحٰنَ الله! এখন একটু সাহাবায়ে কিরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان ‘র ভালবাসাপূর্ণ, ঈমানদীপ্ত আচরণ দেখুন। হযরত মুসআব বিন উমাইর رَضِیَ اللهُ عَنْہُ দ্বীনি দরস দিচ্ছিলেন। তিনি তখন দুই জানু (অর্থাৎ নামাযের মধ্যে আত্তাহিয়্যাতু পড়ার সময় যেভাবে বসে) হয়ে বসে, মাথা মুবারক ঝুঁকিয়ে, চোখ বন্ধ করলেন- যেনো তিনি কল্পনায় মক্কী মাদানী মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم‘র নুরানী জলওয়া নিজে অবলোকন করছিলেন। তারপর মাথা উঠিয়ে বললেন, সমস্ত সুন্দরের চাইতে সুন্দরতম আক্বা, ইমামুল আম্বিয়া, মাহবুবে খোদা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم‘র দেহ মুবারক শুভ্রবর্ণের, শুভ্রবর্ণের সাথে হালকা লালচে আভা মেশানো (তাঁর ত্বক)। চোখ মুবারক (অপেক্ষাকৃত) বড় এবং অপূর্ব । মুবারক ভ্রুদ্বয় (পরস্পর এতোই নিকটবর্তী, দূর থেকে দেখে মনে হয় যেনো) জোড়া লাগানো। দাঁড়ি মুবারক ঘন। বক্ষ মুবারক প্রশস্ত। ঘাড় মুবারক (দেখে অনুভূত হয়) যেনো রূপার কলস... যখন তিনি হাঁটতেন তখন মনে হতো যেনো উঁচু স্থান থেকে নিচে নামছেন। যখন কারো দিকে তাকাতেন তখন পূর্ণ মনযোগ সহকারে তাকাতেন। নুরানী চেহারায় ঘামের বিন্দুগুলো মনে হতো যেনো শুভ্র মুক্তোর দানা। পবিত্র দেহের উচ্চতা না খুব খাটো ছিলো, না খুব লম্বা; (বরঞ্চ অপেক্ষাকৃত মাঝারি) ছিলো। তিনি সর্বাধিক দানশীল, সর্বাধিক বাহাদুর, সর্বাধিক সত্যবাদী, ওয়াদা রক্ষাকারী, সর্বাধিক বিনয়ী এবং চলাফেরায় সর্বোত্তম। আমি রাসূলুল্লাহ
صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ‘র মতো আর কাউকে দেখিনি...,,

(সাহাবায়ে কিরাম কা ইশকে রাসূল, পৃষ্ঠা - ৯৫-৯৭)

    سُبْحٰنَ الله! কী অনন্য নবীপ্রেম! দরস চলছে, দ্বীনী বিষয়াদী শেখানো হচ্ছে। এরই মাঝে সাহাবায়ে কিরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان প্রিয় আক্বা, মক্কী মাদানী মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ‘র স্মরণে ব্যকুল হয়ে যাচ্ছেন। যখনই রাসূলে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم‘র মুবারক আলোচনা আসতো, নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ‘র সাহাবীগণের চোখ হতে অশ্রু প্রবাহিত হতো। এবং سُبْحٰنَ الله! সাহাবায়ে কিরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان দরস চলার মাঝেও প্রিয় নবী, রাসূলে আরবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ‘র ধ্যানে হারিয়ে যেতেন...,,

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                         صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد