Book Name:Hazrat Salman Farsi
দোয়া। আমাদের উচিত, সালামের ব্যাপক প্রচলন করা, ঘরে আসা যাওয়া করতে, অলি গলিতে, বাজারে, বাসের মধ্যে, ট্রেনের মধ্যে প্রত্যেক নিজের মুসলমান ভাইকে সালামের উপহার পেশ করতে থাকা এবং আমাদের মুসলমান ভাই যারা দূরে ও শহরে বাস করে, তাদের জন্যও সময় সময়ে সালাম পাঠানো।
হযরত আব্দুল্লাহ বিন সালাম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: আমি মদীনা মুনাওয়ারায় আল্লাহ পাকের সর্বশেষ নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর মোবারক মুখে সর্বপ্রথম যে বাক্যগুলো শুনেছি সেটা ছিলো: یَا اَیُّہَا النَّاسُ! হে মানবজাতি! اَفْشُوا السَّلَامَ সালামের ব্যাপক প্রচলন করো, اَطْعِمُوا الطَّعَامَ খাবার খাওয়াও! وَ صَلُّوْا بِالَّیْلِ وَالنَّاسُ نِیَامٌ এবং রাতে ঐসময় নামায পড়ো, যে সময় মানুষ ঘুমিয়ে থাকে, تَدْخُلُوا الْجَنَّۃَ بِسَلَامٍ (তোমরা এই তিনটি কাজ করলে) নিরাপদে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (ইবনে মাজাহ, ৪২৩ পৃষ্ঠা, হাদীস: ১৩৩৪)
সালাম ভালবাসা সৃষ্টি করে
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! “সালাম” একটি অমূল্য সম্পদ, আল্লাহ পাক সালামের মধ্যে এমন প্রভাব দান করেছেন যে, আমরা সালাম দিয়ে থাকে মুখে কিন্তু সেটার প্রভাব সোজা অন্তরে গিয়ে পড়ে। আমাদের প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: لَاتَدْخُلُوا الجَنَّۃَ حَتّٰی تُؤْمِنُوْ তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করবে না যতক্ষণ না ঈমান আনয়ন করবে! وَلَا تُؤْمِنُوْا حَتّٰی تَحَابُّوْ আর তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত (পরিপূর্ণ) ঈমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ না পরস্পর ভালবাসবে! ইরশাদ করলেন: আমি কি তোমাদেরকে ঐ আমলের ব্যাপারে বলব না! যেটা করলে তোমাদের একে অপরের প্রতি ভালবাসা বৃদ্ধি পাবে? (আর তা হলো) اَفْشُوا السَّلَامَ بَیْنَکُمْ পরস্পরের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রচলন করো! (আবু দাউদ, ৮০৯ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৫১৯৩)