Book Name:Nafarmani Ka Anjam
সাহাবীয়ে রাসূল হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: হে গুনাহগার! তুমি গুনাহের পরিণামের ব্যাপারে কেন ভয় করছো না? হ্যাঁ! হ্যাঁ! গুনাহের সন্ধানে থাকাটা গুনাহ করার চেয়েও মারাত্মক। তোমার কিরামান কাতেবীন অর্থাৎ আমল লিখক ফেরেশতাকে লজ্জা করা উচিত এবং গুনাহের উপর অটল থাকাটা অনেক বড় গুনাহ। তোমার গুনাহ করে নেয়ার উপর খুশি হওয়াটা, অট্রহাসি দেয়া এরচেয়েও বড় গুনাহ, গুনাহ করার সময় প্রবল বাতাসে পর্দা সরে যায় তখন তুমি ভয় পেয়ে যাও অথচ আল্লাহ পাক তোমাকে দেখছেন, এটাকে তুমি ভয় করছো না। হ্যাঁ! হ্যাঁ! তুমি জানো না যে, আল্লাহ পাক তোমার সাথে কেমন আচরণ করবে?
(জাহান্নাম মে লে জানে ওয়ালে আমাল, ১/৬১)
ইমাম মুহাম্মদ বিন মুহাম্মদ গাযালী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: দৃষ্টির আলো দিয়ে বাতিন (অভ্যন্তরীণ বিষয়) কে দেখো! তোমাদের বাতিন বিভিন্ন পশুত্বের মধ্যে আবৃত রয়েছে। রাগ, কামভাব, ঘৃণা, হিংসা, অহংকার, সুখ্যাতি কামনা, লৌকিকতা, এসবকিছু হলো পশুত্ব, আজ তোমাদের এসব পশুদের আত্রুমণের ব্যাপারে অনূভব হচ্ছে না কিন্তু মৃত্যুর পর কবরেও যখন পর্দা উঠে যাবে, তখন তোমরা এসব পশুদের দেখতে পাবে। হ্যাঁ! তোমরা নিজের চোখে দেখবে গুনাহসমূহ বিচ্ছু ও সাঁপের আকৃতিতে তোমাদেরকে আবৃত করে নিবে, নিশ্চিত মেনে নাও! এগুলো মন্দ অভ্যাস, খারাপ অভ্যাস ও সত্যিকারার্থে ভয়ঙ্কর হিংস্র পশু, যারা বর্তমানে তোমাদের সাথে আছে কিন্তু এদের ভয়ঙ্কর চেহারা কবরেই তোমরা দেখতে পাবে, উত্তম হলো: মৃত্যুর পূর্বে এসব পশুদের হত্যা করো! গুনাহ ছেড়ে দাও! (ইহয়াউল উলুম, ৪/ ৫৫৯)