Book Name:Nafarmani Ka Anjam
নেকী করি এবং আল্লাহ পাক ও তাঁর প্রিয় হাবীব صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ’র অবাধ্যতা থেকে সব সময় দূরে থাকি। কেননা আল্লাহ পাক ও রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর অবাধ্যতা দুনিয়া ও পরকালের অপমান ও লাঞ্চণার কারণ। হযরত ইমাম হাসান বসরি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলতেন: হে আদম সন্তান! তোমার ধ্বংস হোক! তুমি কি আল্লাহ পাকের সাথে যুদ্ধ করতে চাও? যে আল্লাহ পাকের নাফরমানী করলো (মূলত) সে আল্লাহ পাকের সাথে যুদ্ধ করলো। (উয়ুনুল হিকায়াত, ১/ ৫২)
পারা ৬, সূরা মায়িদা, আয়াত ৭৮ এ আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:
لُعِنَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا مِنۡۢ بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ عَلٰی لِسَانِ دَاوٗدَ وَ عِیۡسَی ابۡنِ مَرۡیَمَ ؕ ذٰلِکَ بِمَا عَصَوۡا وَّ کَانُوۡا یَعۡتَدُوۡنَ
(পারা ৬, সূরা মায়িদা, আয়াত: ৭৮)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: অভিশপ্ত হয়েছিলো ঐসব লোক, যারা কুফরী করেছিলো, বনী ইসরাইল সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে, দাউদ এবং মরিয়ম-তনয় ঈসার ভাষায়। এটা পরিণাম তাদের অবাধ্যতা ও সীমালঙ্গনের।
এই আয়াতে মোবারকার মধ্যে বলা হয়েছে বনী ইসরাঈলের অধিবাসীরা অবাধ্যতা করেছে, ঐসব লোক গুনাহের ক্ষেত্রে সীমা লঙ্গল করেছে, আল্লাহ পাকের হুকুম অমান্য করেছে তখন হযরত দাউদ ও হযরত ঈসা عَلَیْہِمَا السَّلَام তাদের উপর অভিশাপ দেন। সুতরাং ঐসব লোক আযাবে গ্রেফতার হলো। বুঝা গেলো! আল্লাহ পাকের অবাধ্যতা অভিশাপ বর্ষণের কারণ।