Book Name:Nafarmani Ka Anjam
করে, অতঃপর তাদেরকে অধ্বমুখে জমিনে এমনভাবে নিক্ষেপ করা হতো যে, তারা টুকরো টুকরো হয়ে যেতো, ৮ দিন পর্যন্ত এই অন্ধকার ধারাবাহিকভাবে চলতে রইলো এবং সেটা আদ গোত্রের নাম নিশানা পর্যন্ত মুছে দিলো। (সিরাতে আম্বিয়া, ২২৩ পৃষ্ঠা)
সামুদ গোত্র দালান নির্মাণে পারদর্শি ছিলো, আল্লাহ পাক তাদেরকে অনেক নিয়ামত দ্বারা ধন্য করেছেন, তাদের ক্ষমতা দিয়েছেন, ধন সম্পদ দ্বারা ধন্য করেছেন কিন্তু তারা নাফরমানী করলো, হযরত সালেহ عَلَیْہِ السَّلَام কে মিথ্যা প্রতিপন্ন করলো, কুফরের উপর অটল রইলো, গুনাহের আসর গরম করলো, শেষ পর্যন্ত তাদের উপরও আল্লাহ পাকের আযাব বর্ষণ হলো, তাদের উপর মারাত্মক ভূমিকম্পের আযাব প্রেরণ করা হলো, যার দ্বারা তারা সর্বদার জন্য ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ধাপ অতিত্রুম করলো।
নমরুদ! কেমন শক্তিশালী ও ভয়ঙ্কর বাদশাহ ছিল, আল্লাহ পাক তাকে মুকুট ও সম্রাজ্য দান করেছেন কিন্তু সে অকৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করলো, হযরত ইব্রাহীম عَلَیْہِ السَّلَام ’র সাথে বেয়াদবী করলো, শেষ পর্যন্ত তার উপর আযাব আসলো, আল্লাহ পাক মশার মাধ্যমে এই হতভাগা ও তার বাহিনীকে ধ্বংস করে দিলো।
ফিরআউন কি রকম শক্তিশালী ছিলো, তার বাদশাহী তার কোন কাজে আসলো না, ক্ষমতা, শক্তি, মুকুট ও সিংহাসন, বাহিনী, সৈন্য সবই থেকে গেলো আর ফিরআউন তার কাফির গোত্র নিয়ে সমুদ্রে ডুবে গেলো।
এটা অবাধ্যতার পরিণাম! আল্লাহ পাক বড়ই দয়ালু, তিনি অবকাশ দেন, সংশোধনের সুযোগ দেন কিন্তু যে সংশোধন হয় না, অবাধ্যতার মধ্যে নিমজ্জিত থাকে, গুনাহের উপর সাহস দেখায়, সে স্বয়ং নিজেই আল্লাহ পাকের গযবকে দা’ওয়াত দিয়ে থাকে, অতঃপর যখন ঐ সর্বশক্তিমান ও পরাক্রমশালীর আযাব