Book Name:Parosi ki Ahmiyat

যে মুসলমান লেনদেন বিশুদ্ধ করে নিবে তার ইবাদত বিশুদ্ধ করা সহজ হয়ে যাবে এবং লেনদেনে সত্য কথা, প্রত্যেক প্রকারের আমানত আদায় করা, নিজ প্রতিবেশীর সাথে সদ্ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আজ অনেক মুসলমানই এই ৩টি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়ে যায়, নামাযী, হাজী অনেক কিন্তু সত্যিকারের উম্মত খুব কম(মিরআতুল মানাজীহ, ৬ষ্ঠ খন্ড, ৫৭৬ পৃষ্ঠা) আল্লাহ পাক আমাদেরকে সত্যিকারের উম্মত হওয়ার তাওফিক দান করুন আমিন

প্রতিবেশীর কষ্টের উপর ধৈর্য ধারণ করুন!

    হে আশিকানে রাসূল! আমরা কখনো প্রতিবেশীকে কষ্ট দেবো না, এর পাশা-পাশি এই কথাও মনে গেথে নিন আল্লাহ না করুক যদি আমাদের প্রতিবেশী আমাদের কষ্ট দেয় তখনও ধৈর্যধারণ করতে হবে, ইমাম হাসান বসরী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ  বলেন: প্রতিবেশীর সাথে সদ্ব্যবহার করা কেবল এটা নয় যে, তুমি তাকে কষ্ট দিবে না বরং আসল সদ্ব্যবহার এটাই যে, প্রতিবেশী তোমাকে কষ্ট দেয় তখনও তুমি ধৈর্য ধারণ করো..?

(তানবিহুল গাফিলীন, অধ্যায়, হক্কুল জার, ৭৭ পৃষ্ঠা)

    একবার এক ব্যক্তি হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে আরয করলেন: আমার এক প্রতিবেশী রয়েছে, যে আমাকে কষ্ট দেয় আর মন্দ কথা বলে হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বললেন: আবার ফিরে যাও..!! তোমার প্রতিবেশী যদি তোমার ব্যাপারে আল্লাহ পাকের নাফরমানি করে তাহলে তুমি তার ব্যাপারে আল্লাহ পাকের অনুগত্য করো..! (ইহ্য়াউল উলুমউদ্দীন, ২য় খন্ড, ২৬৪)

প্রতিবেশীর কষ্ট কতক্ষণ পর্যন্ত সহ্য করবে?

    প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! হয়তো মনের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে যে, যদি প্রতিবেশী একেবারে মনুষ্যত্বহীন হয় এবং কষ্টের উপর কষ্টই দিতে থাকে তাহলে শেষ পর্যন্ত বান্দা কতক্ষণ পর্যন্ত ধৈর্যধারণ করবে? মাঝে মধ্যে ধৈর্যের মাত্রা ছাড়িয়ে যায়? সে ব্যাপারে প্রথম কথা হলো; প্রতিবেশী এতটাই মনুষ্যত্বহীন হয়, সাধারণত এমন হয় না, উত্তম চরিত্রের অর্থ হলো: সেই ছিন্ন করবে তুমি বজায় রাখবে, সেই জুলুম করলে তুমি ক্ষমা করবে, সেই কেড়ে নিলে তুমি দান করবে..! এমন সদ্ব্যবহার আমাদের এখানে কে করে? আমাদের সাথে কেউ একবার সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা বললে লোকেরা হাজার বার ছিন্ন করবে, কেউ জুলুম করলে তখন প্রতিশোধ চাই নিক বা না নিক তার কাছ থেকে মুখ