Book Name:Parosi ki Ahmiyat

ওয়াক্ত নামায ফরয আর পাঁচ ওয়াক্ত নামায মসজিদে জামাআত সহকারে আদায় করা ওয়াজিব, এর একটি হিকমত উলামায়ে কেরাম এটা বর্ণনা করেছেন: যখন এক গলির, এক মহল্লার মানুষ পাঁচ ওয়াক্ত নামায মসজিদে আদায় করবে তখন তারা একে অপরের সাথে সাক্ষাতের সুযোগ পেতে থাকবেএকে অপরের অবস্থাদি জানতে পারবে, ধনী গরিবকে দেখলে সেবা যত্নের উৎসাহ বৃদ্ধি পাবে, এমনিভাবে এক গলি মহল্লার লোকেরা পরস্পরের সাথে মিলে মিশে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জীবন অতিবাহিত  করতে পারবে এটা হচ্ছে ইসলামের আলোকিত শিক্ষা, যার বরকতে মানুষ মোবাইল ফোনের সাথে জড়িত হোক বা না হোক মানুষের সাথে অবশ্যয় জড়িত হয়ে যায়, অন্তর মিলিত হয়, পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি পায় স্বচ্ছলতা আসে এই জন্য আমাদের উচিত, ইলমে দ্বীনের দিকে আসা, নিজের প্রিয় ধর্ম ইসলামের উপর আমল করা, প্রতিবেশীর খবর রাখা, তাদের দেখা শুনা করা একে অপরের ভালো মন্দ খবর রাখা

স্বাদের উপর ভালোবাসাকে প্রাধান্য দিন...!

    হে আশিকানে রাসূল! প্রতিবেশী অভাবী হোক বা না হোক, তবে  প্রতিবেশীর ঘরে উপহার পাঠানো ইসলামের শিক্ষা এর ফলে ভালোবাসা বৃদ্ধি পায় (মিরআতুল মানাজি, খন্ড, ১২১ পৃষ্ঠা) জান্নাতী সাহাবী হযরত আবু যরগিফারী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: اَوْصَانِی خَلِیْلِی مُحَمَّد سُبْحَانَ الله!ভালোবাসা পরিপূর্ণ শব্দ দেখুন! বললেন: আমার মাহবুব হযরত মুহাম্মদ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আমাকে নসিহত করলেন (কি অসিয়ত? বললেন: হে আবু যর!) যখন ঝোল তৈরী করবে তখন তার মধ্যে পানি একটু বেশি দিবে আর তা থেকে প্রতিবেশীকেও পাঠিয়ে দিবে...!! (মুসলিম, ১০১৩ পৃষ্ঠা, হাদীস: ২৬২৫)

    হাকিমুল উম্মত মুফতি আহমদ ইয়ার খাঁন নঈমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: এই হাদীস থেকে কিছু মাসআলা বুঝা গেলো: একটা হলো সাধারণ তরকারীও প্রতিবেশীকে পাঠাতে থাকা উচিত। কেননা নবী করীম হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এখানে ঝোল বলেছেন মাংসের হোক বা অন্য কিছুর। দ্বিতীয়তো এটা যে, প্রতিবেশীকে উপহার দেয়া উচিত  দূরের হোক বা কাছের, যদিও নিকটবর্তী বেশি হকদার হয়, তৃতীয়তো এটা যে, সর্বদা স্বাদের উপর ভালবাসাকে প্রধান্য দেয়া উচিত কেননা যখন ঝুলে শুধু পানি পড়ে তখন স্বাদ কমে যাবে কিন্তু এর মাধ্যমে প্রতিবেশীর সাথে সম্পর্ক বেশি হয়ে যাবে। এই কারণে হুযুর পাক