Book Name:Faizan e Imam Shafi
নিঃসন্দেহে আমাদের সবার ঘরে কুরআনে পাক বিদ্যমান রয়েছে, সেই পবিত্র বরকতময় কিতাব আমরা কতদিন পর আলমারি থেকে বের করি? প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এই চিন্তার মুহুর্ত এটাই, অনেক আফসোসের সাথে বলতে হচ্ছে যে, আমরা মোবাইল ফোনের জন্য সময় পায়, সোস্যাল মিডিয়ার জন্য সময় পায়, দুনিয়ার ধন-সম্পদ অর্জন করার জন্য আমাদের সময় হয়, সফর ও আনন্দ করার জন্য আমরা কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যায় কিন্তু আফসোস! আমরা আমাদের প্রতিপালকের পবিত্র কালাম পড়ার জন্য অনেক দিন, অনেক সপ্তাহ বরং অনেক মাসেও সময় পায় না আর সময় পাওয়ার অভিযোগ কিই বা করবো, আমাদের তো তিলাওয়াত করার কথা মনেও থাকে না, হয়তো আমরা আমাদের রুটিনে তিলাওয়াতকে শামিলই করি না।
আল্লাহ পাক আমাদেরকেও কুরআন তিলাওয়াত করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
হযরত হাসান করাবিসী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আমার অনেকবার ইমাম শাফেয়ী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর সাথে রাত অতিবাহিত করার সৌভাগ্য হয়েছে। তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ রাতের এক তৃতীয়াংশ নামায পড়তেন, মোবারক স্বভাব এটা ছিলো যে, কখনো নামাযে ৫০ আয়াত তিলাওয়াত করতেন আর কখনো ১০০ আয়াত তিলাওয়াত করতেন। তিলাওয়াতের ধরণ এমন ছিলো যে, যখন রহমতের আয়াতে পৌঁছতেন তখন আল্লাহ পাকের দরবারে নিজের জন্য ও সকল মুসলমানের জন্য রহমতের দোয়া করতেন আর যখন আযাবের আয়াত আসতো তখন তা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন এবং নিজের জন্য ও সকল মুসলমানের জন্য মুক্তি লাভের দোয়া করতেন। (তারিখে বাগদাদ, ২য় খন্ড, ৬১ পৃষ্ঠা)